উদোম ভালোবাসার ত্বরন ঠেলে হৃদি জঙ্গমে
কতবার মেতেছি তুমি-আমি প্রাণোচ্ছল সঙ্গমে ;
সঙ্গম মমতার দৃঢ় আবেশে ইন্দ্রধনু আঁকতে আঁকতে,
তোমার কম্পিত অধরে থাকতো, আমি নাকি সেই! তোমার কুলুঙ্গিতে ।


যৌবনের মন্থনে মন্থনে ভরা অমৃত থাকতো দু'জনার হস্তে ,
তোমার আমার চাঁদনী মধুবনে রাহুরা তখনো দূর অস্তে;
বিদগ্ধি গ্রীষ্মেও ছিল ভরা বসন্তের কুসুমকর  দুই  চিত্তাঙ্গনে
তাই পৌঁছে প্রেমচূড়া,ছুঁয়েছি স্বপ্ন সীমাহীন কল্প-ফেনিলে ।


ঘন জোছনায় বনানীর ফাঁকে ফাঁকে তোমার চপলতা
চূর্ন-চূর্ন করে বাহুবন্ধে আবদ্ধ হতো নিশ্বাসের নিবীড়তা ।
নিশব্দ পদসঞ্চালনে শিশির মেখে তোমার আমার ঘরে ফেরা
খুনসুটি কাকভোরে জেগে তোমার আঙুল ছুঁয়ে নতুন সূর্য দেখা ।


নিষেধের শাশানিতে পদচিহ্ন ফেলে কতবার মেতেছি তুমি-আমি;
খোলা দু'জানালায়  চোখে চোখ কত রোজ তবুও বিষন্ন তুমি-আমি ।
ভেঙে ভেঙে তুলেছি তুমি-আমি নিষিদ্ধ এক অদৃশ্য প্রাচীর  ;
কোলাহল চতুর্দিক,মাঝে ভাসে শ্যাওলা,এখন তুমি-আমি মূক- বধির ।।