লেখনী আমার স্তব্ধ আজিকে,
ভাষা ছ্ন্দ-হারা।
কণ্ঠ আমার রূদ্ধ আজিকে
তোমরা স্বজন- ছাড়া।।
শব্দ যখন আর্তনাদ আর কান্নার ছলছলে
ছাপিয়ে গিয়েছে ব্যস্ততা আর উদ্বেগ কোলাহলে।।
দুরুদুরু বুকে, আশঙ্কা আর দুর্ভাগ্যের মেঘে
জনতা মুখর পোস্তা বাজার কখন গিয়েছে ঢেকে।।


"আমরা মর্ত্যে? ওই তো স্বর্গ-
কে বলে তা বহুদুর"!
স্বর্গ মিশেছে মর্ত্যে এখানে
এনে বিষাদের সুর।।
এমন স্বপ্ন কখনো দেখিনি আমি
মাটিতে যে আজ স্বর্গ আসবে নামি-
-ভুলেও ভাবিনি, ভাবতে চাইনি-
করুণ সে ইতিকথা
বিবেকানন্দ সেতু ভেঙ্গে, লেখে
নতুন নকসী-কাঁথা।।


আজও এই হাত জলটুকু চায় --ওই হাতটার পানে
নিদারুন ব্যথা চাপা পড়ে থাকে- বালি পাথরের কোণে
আজও কোনো সাজু অধীর উতলা -তার রূপাই এর তরে
রূপাই আজও যে অপেক্ষা করে - কোনো মরণের পারে।।


বাহুবলী যারা, মুখোশ-বেসাতি
ভেক জনসেবা নিয়ে--
সন্তানহারা মা কে ভোলাবে,
তুচ্ছ অর্থ দিয়ে?
বড় বেপরোয়া, নীলাজ, বেহায়া, হারিয়েছ নীতিকথা
মমতার 'ম' ছাড়ায়ে করেছ 'ক্ষ' জুড়ে ক্ষমতা।।


এস, বাহুবলী, মুখোমুখি বোসো,
জানাও সত্যি কথা।
কোন অধিকারে রচনা ক'রলে-
আর এক  নকসী-কাঁথা।।