কুঞ্জবন (৬৪ জেলার আঞ্চলিক কাব্যসংকলন)

কুঞ্জবন (৬৪ জেলার আঞ্চলিক কাব্যসংকলন)
প্রকাশনা যৌথ সংকলন
প্রকাশনী শিলালিপি
সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ইশতিয়াক & সুলতানা লীমা
প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ
স্বত্ব সম্পাদক
প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ২০২২
সর্বশেষ প্রকাশ ডিসেম্বর ২০২২
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম
বিক্রয় মূল্য ৩৫০/-

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

আঞ্চলিক ভাষায় কাব্য সংকলন ‘কুঞ্জবন’। আঞ্চলিক ভাষাই আমাদের প্রকৃত মাতৃভাষা। বাংলাদেশে অসংখ্য আঞ্চলিক ভাষার প্রচলন। আমরা আনুষ্ঠানিক জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ভাষার বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে চেয়েছি। আর তাই ৬৪ জেলার সেইসব ভাষাকে সাহিত্যের সৃজনশীলতায় রাঙিয়ে তুলতেই আমাদের আয়োজন ‘কুঞ্জবন’।

কুঞ্জবন— ৬৪ জেলার আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত একটি কাব্য সংকলন। একটা বই; যার বুকে থরে থরে সাজানো রয়েছে পুরো বাংলার সকল বুলি। পাঁচ ফর্মার একটি বইয়ের একেকটা পৃষ্ঠায় এসে ভর করেছে একেকটা অঞ্চল।

ভূমিকা

সম্পাদকের কথা

সম্পাদনা— একটি গুরুদায়িত্ব। এর জন্য প্রয়োজন যোগ্য নাবিকের; যার সম্পাদনার পাল গ্রন্থকে নিয়ে যাবে সাফল্যের শিখরে। কিন্তু এই গুরুদায়িত্ব পালনের যোগ্যতা কিংবা সক্ষমতা— কোনোটাই আমার নেই; তবে মনোবল ছিল দেখার মতো। এককথায় একে ধৃষ্টতা বলা যায়। কেননা এটা কেবলই একটা কাব্য সংকলন নয়; এটা ৬৪টা ভাষার মিলনমোহনা। এখানে ভিন্ন ভিন্ন শব্দের ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাসে ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতির চাষ। ভিন্ন ভিন্ন ছন্দের কারুকাজও। তার উপর বিরাট আয়োজন। বিশাল প্রতিযোগিতাও। পাঁচ শতাধিক লেখা থেকে কেবল ৬৪টা লেখা নির্বাচন। এটা কি চাট্টিখানি কথা! লেখক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সৌজন্য কপি প্রেরণ। বুঝতেই পারছেন আমার মতো একজন সাধারণের জন্য কত বড় ধৃষ্টতা! কিন্তু এই ধৃষ্টতাকেই প্রশ্রয় দিয়েছেন আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী। উনাদের প্রশ্রয়ের বদৌলতই এই কুঞ্জবন। না, না। শুধুমাত্র প্রশ্রয়ের বিনিময়ে এটা আসে নি। লেখা সংগ্রহ থেকে শুরু করে বই পাঠকের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত উনাদের আন্তরিকতা ছিল বর্ণনাতীত।

কুঞ্জবন— ৬৪ জেলার আঞ্চলিক ভাষায় প্রকাশিত একটি কাব্য সংকলন। একটা বই; যার বুকে থরে থরে সাজানো রয়েছে পুরো বাংলার সকল বুলি। পাঁচ ফর্মার একটি বইয়ের একেকটা পৃষ্ঠায় এসে ভর করেছে একেকটা অঞ্চল। ৬৪ জেলার আঞ্চলিক ভাষাকে ছন্দবদ্ধ করার ইচ্ছেটা বেশ আগেরই। আগেও একবার লেখা আহ্বান করা হয়েছিল। বেশ সাড়াও পেয়েছিলাম। কিন্তু পারিবারিক ঝামেলা, মানসিক চাপ; সেবারের কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছিল। এরপর কেটে যায় বছরখানিক সময়। গত দুই মাস আগে নতুন করে লেখা আহ্বান করি। লেখাও আসতে থাকে একটার পর একটা। এ যেন নবীন-প্রবীণের মিশেলে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন।

কুঞ্জবন নিয়ে শুভাকাঙ্ক্ষী আর বন্ধুমহলের পরামর্শের অন্ত নেই। অনেকে আবার লেখকদের সৌজন্য সংখ্যা দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করে বলেন, “নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কোনো মানে হয় না; এই টাকা দিয়ে একক বই কর্।”

আমি অতি ছোট্ট একজন সাহিত্যপ্রেমী; কবি বা সাহিত্যিক নই। মনের অজান্তে কখনও হয়তো হিজিবিজি কিছু লিখে ফেলি। সেই হিজিবিজি লেখা দিয়ে ছোটখাটো একটা কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে। নাম “শূলে চড়া বিবেক”। আরেকটা পাণ্ডুলিপি অর্ধেকে আটকে আছে; নাম “শব্দে গুঁজি নব্য পুঁজি”। কিন্তু পাঠককে মুগ্ধ করার মতো কোনো সৃষ্টি আছে কিনা আমার জানা নেই।

আর তাই পাঠককে মুগ্ধ করার একটা হাতিয়ার হিসেবে আমার এই কার্যক্রম। কুঞ্জবন। ৬৪ জেলার আঞ্চলিক কাব্য সংকলন। আমার “নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো”র গল্প।

আমার “নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো”র গল্পে নতুন একটা মোড় এসে উপস্থিত হয় মাত্র কদিন আগেই। মোড়টা হলো– “সুলতানা লীমা আপু”। জানা-শোনার মেয়াদটাও বছরখানিকের মতো হবে। উনি এসে হাত বাড়িয়ে দেন আমার দিকে। না, না। কুঞ্জবন-এর দিকে। আমার স্বপ্নের সহযাত্রী; কুঞ্জবন-এর যোগ্য নাবিক। বইয়ের সিংহভাগ খরচও বহন করেন উনি; যেন ভালোবাসার বাহুডোরে বাঁধতে এসেছেন ৬৪ ভাষার মিলনায়তনে।

বইটা আপনাদের হাতে পৌঁছাতে যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম; তাঁদের মধ্যে কথাসাহিত্যিক নাসীমুল বারী স্যার, নিলুফার মতিন স্বপ্না আপু, মোছাঃ মাহাফুজা আক্তার (লামিয়া) আপু, দিলরুবা পুষ্প, আহমেদ ইসহাক ভাই, আল-আমীন হুসাইন রিমন ভাই, মুজাহিদুল ইসলাম স্বাধীন ভাই, মেহেরুন ইসলাম আপু অন্যতম। আরও যাঁরা পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন, করতে চেয়েছেন; সকলের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।

সাদ্দাম হোসেন ইশতিয়াক
২২-ই অক্টোবর, ২০১৯
#

উৎসর্গ

প্রিয় শিক্ষকবৃন্দের প্রতি উৎসর্গ করলাম গ্রন্থটি; যাদের হাত ধরে জীবনকে বুঝতে শেখা।

কবিতা

এখানে কুঞ্জবন (৬৪ জেলার আঞ্চলিক কাব্যসংকলন) বইয়ের ১টি কবিতা পাবেন।

শিরোনাম
মন্তব্য