একটা সন্ধ্যা নেমে আসুক নিবিড় পাহাড়ের চূড়ায়
একটা অস্পষ্ট জ্যোৎস্না ধীরে ধীরে আলো ছড়াক।
ঝিঁঝিঁ পোকা আর জোনাকি পোকারাও খুব ভীড় করুক-
হয়তো জমানো কথা আবার উঁকি দেবে।
শীতকালে কিছু গাছের পাতা ঝরে একা হয়ে গেলেও কান্না করে না,
আমরা মানুষ তাই হয়তো কিছু হারিয়ে গেলেই আঁতকে উঠি।
আমরা চাইলে উদ্ভিদ হতে পারতাম, কোনো এক বসন্তের অপেক্ষায় থাকতে।


একটা রাত জ্যোৎস্নার অপেক্ষা করে খুব করে,
মাঝে মাঝে মেঘলা আকাশ চন্দ্রকে আড়াল করে দিলেও রাত কখনও অভিমান করে না।
আসলে অভিমান জিনিসটা খুব অশুভনীয়!
আমি মাঝে মাঝে লজ্জাবতী হওয়ার কথাও ভাবি,
কারণ লজ্জাবতী কারো স্পর্শেই মাথা নিচু করে দেয়।
আসলে আমরা মানুষ তাই কল্পনাবিলাসী,
আমরা শুধু কল্পনাতেই বাঁচতে চাই।


প্রেম, ভালোবাসা বলে কিছু শব্দ আমাদের অভিধানে জায়গা করে নিলেও-
আমি ওসবে বিশ্বাসী নই কিংবা কোনো স্পৃহাও জাগে না।
আমরা মৃত্যুমুখী জীবনকে নিয়ে খুব করে বাঁচতে লড়াই করি-
সময়গুলো মাঝে মাঝে কিছু হারানোর বেদনা আমাদের সামনে চিহ্ন একে দেয়।
হারানোই যদি সার নাইবা হতো-
পাওয়াটাকে আমরা খুব আপন করে নিতাম না।
আমরা সবকিছুর পর আস্ত একটা আকাশ হলে ক্ষতি কী-
মাঝে মাঝে মেঘলা হলেও আবার আলো অপেক্ষায় থাকবে।