কাল আশ্চর্য এক রাত ছিল।
আকাশে ছিল না হেমন্তের চতুর্দশী চাঁদ।
ছিল না কোন জোছনা উৎসব।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে......
তবুও অসংখ্য নক্ষত্রজ্বলা রাত
এমনি আশ্চর্য রাত ছিল কাল।
সমস্ত মৃত নক্ষত্র জেগে উঠেছিল একসাথে, দলবেঁধে আকাশের বুকে
দূরত্ব ছিল না কোথাও এতটুকু।
যেন অজস্র ঝাড়বাতিতে সেজেছে আকাশ।
ধুসর প্রিয় মুখটা আমি দেখেছি সেই নক্ষত্রের মাঝে।
অন্ধকার রাতে জ্বলজ্বল করছিল সেই প্রিয়মুখ।
লোভাতুর প্রেমিক পুরুষের মত
জানালার ফাঁক গলে এসে পড়লো আমার উপর।
মাথার উপর বিশাল আকাশ, নিরব স্বাক্ষী যেন...
প্রেমের প্রগাঢ় পরিণয়ের।
আবিষ্ট, আড়ষ্ট, অভিভূত হয়ে আমি....
কাল এমনি চমৎকার এক রাত ছিল।
স্বাতী তারার কোল ঘেঁষে নীল হাওয়ারা
সমুদ্রে বালিয়াড়িতে লুটোপুটি খাচ্ছিল।
সাদা বকের মতো ডানা ঝাপটে উড়ছিল
বুকের অন্তঃপুরে অবিরাম।
সমস্ত রাতের নীল যন্ত্রণা আমাকে ছিঁড়ে চলেছে,
বিস্তীর্ন আকাশের সীমানায় ডানাহীন পাখির মত।
কাল এমন আশ্চর্য এক রাত ছিল।
সিংহের হুংকারে পরাজিত হরিণীর পরাভূত সমর্পণ....
মিলানোমত্ত মাতাল গর্জনে নিষ্পেষিত প্রাণ।
বিস্তীর্ণ ফেল্টের সবুজ ঘাসের ঘ্রাণে,
দিগন্ত প্লাবিত আলোকোজ্জ্বল রাতে
অগণিত নক্ষত্রের মিছিলে
জীবনের দূর্দান্ত নীল মত্ততায়
আশ্চর্য সুন্দর এমনি এক রাত ছিল কাল।