অনন্ত রাত্রির ঘোরে মেতেছে আঁধার
নির্জন গৃহ পরিণত হয়েছে নরকে,
নরকীয়-গৃহের পরিত্যক্ত কামরায়
যেনো ফিসফিস শব্দ ঘুরপাক খায় নিস্তব্ধতা-য়!


চার দেয়ালের মাঝে মিশে যায় আমার অস্তিত্ব  
মনে সংশয়, নিউরনের অনুভবে ভয়,
আর অবাধ কল্পনায় একাকিত্ব
তবে আমি যে একা নই, তাও চিরায়ত সত্য!
নির্জন নরক-গৃহে মেতেছি
"এক অশরীরী-র সাথে!"
হঠাৎ গান শোনার আবদার করে
গীটার তুলে দিলো হাতে,
গীটার হাতে উম্মাদ সুরে গাচ্ছি নরকের গান
অশরীরী-র হাতে বানানো কড়া লিকারের চা;
আর শুকনো পাতার ধোঁয়ায় মতিভ্রমের টান,
শুকনো পাতা যেখান থেকে পুঁড়ে চলে
সেখান থেকেই হয় গান
সেই গানের সুরে মুখরিত হয় আশ্চর্য পাতার বাগান!


মাঝরাতে দাঁড়িয়ে দুজনে নরকের ছাঁদে;
প্রেয়সী-অশরীরী এককোণে গিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদে,
আমি বলি ন্যাকা কাঁদো কেনো?
কবিতা লিখতে দাও আমারে,
এই নরকের ছাদে প্রেম হয় না তুমি জানো না?
আর এই নরকেও ফাগুনের ছোঁয়া লেগেছে তোমার?


চেয়ে দেখো প্রিয়;
ফাগুনের এ নারকীয় বাতাসে পৃথিবী পুরোই হতাশ


আকাশের তারাগুলোও আজ হতাশ!
সূর্য তাদের আলো না দিয়ে করলো উপহাস
তারাগুলো কি আর্তনাদেই অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।


নীল কস্তরী আভার সুন্দরী চাঁদও আজ হতাশ!
সে-ও আত্মহননে নিজেকে করবে শেষ
"প্রেমিকের চোখে প্রেমিকার নারকীয় সৌন্দর্য তার চেয়েও নাকি বেশ"
একথা আজ কোটিবার শুনে ক্রোধে ফেটে দুখন্ড সে!


এই গভীর রাতে আমি সবচেয়ে বেশি হতাশ
যদি সকালে সূর্য না ওঠে?
তবে কি আমি আজীবন এই অন্ধকার নরকে থাকবো?


হঠাৎ অশরীরী প্রেয়সী চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো..
ফাগুনের ছোঁয়া নয় আমিও হতাশ;
রাত শেষে আমার তোমাকে হারাবার ভয়,
আমার নারকীয় Handsome কে হারানোর ভয়,
এই অনন্ত রাত যেন কখনো শেষ না হয়!