চোখ তাকিয়ে থাকে,
অন্য আকাশে ; স্বপ্নের জলাঞ্জলি
রয়েছে স্বপ্নে, উড়ে যায় ভয়ার্ত সত্তা
মন দিয়ে পড়ে ফেলি তুচ্ছার্থতা ;
রোদের মাঝে নোংরামো।


এই বিশাল ক্ষুদ্র সময় কেন চিরস্থায়ী নয়?
কিংবা এই লাল রঙ?
মুছে ফেলে দিক সব জঞ্জাল, আমরা হয়েছি আহত ;
তুমি এক দূর নক্ষত্র, তোমার আলোয় বেঁচে থাকি ;
শুতে পাই না–ছুতে পাইনা, নাগালের বাইরে তুমি
অভিমান তাও মিশে যায় ; এভাবে উপেক্ষার শীত
হৃদয় ছুয়ে যায় - মনফাটা রোদ্দুরে।


মন হুটহাট মিইয়ে যাওয়ার কথা ভাবে,
দেখা হোক (খুব সম্ভবত) অন্য পৃথিবীতে!
প্রজাপতি যেভাবে ঘাসফড়িং-এর দেখা পায়,
সেভাবে দেখেছি তারে, দুপুরের অন্ধকারে,
ম্রিয়মাণ, অম্লান, আরও দূরের এক অজানা–
অভিমান!


তাকিয়ে আছি অনর্থতে, তাকিয়ে আছে দূর্বিপাকে
একই আলো দেখি দুজনে দূরবর্তী নক্ষত্রের 'পরে
পৃথিবীর যে স্রোতে সবাই ভেসে যায় - সেই স্রোত
তাকে ভাসায় না ; সে এক দুঃসহনীয় ক্যাকটাস!
উপেক্ষা আর অবজ্ঞাতেই চিরকাল শোভা পাক।


তবু বলতে হয়,
বুকের মাঝে মোনালিসা রেখে নিশ্বাস যেন কাশিমপুর কারাগার।