রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে এক মস্ত বিচ্ছিরি অস্পৃশ্যতার বাহক
সমুদ্রের মাঝে আচমকা উত্থান এক বিমূর্ত রূপের
এ দ্বীপ যেন কোথায় দেখেছি, নির্জনতার আধার সে
আপদগ্রস্ততার ঢিবি
এ তৃষ্ণা শেষ হয়না, মর্ত্যের মতো চিরসত্য, অদেখা অভিযোগ এর স্তুপ
নক্ষত্ররা ভালোবাসার আবদার করে বহু দূরের পূর্ণিমার কাছে
চিরকাল ধরে খুঁজে আসছি এক ঘুম যা অনন্য ; অনন্তকালের জন্য
তবু জেগে উঠবার এ প্রেষণা, কোলাহল তুমি মিশে যেও আমার মাঝে
আমাকে আগলিয়ে রেখো প্রকৃতির অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ সন্তান হিসেবে
যেভাবে তীরবর্তী সব ঘরবাড়ি উজার করে নেয় কান্নার নদী
যেভাবে শূন্যতা বেঁধে রাখে এক অস্থানিক অবিমৃষ্যতাকে
গুড়িয়ে ফেলো এ মিছে অহংকার, মানব শিশু আমি অথবা মস্তিষ্ক বিভ্রাট
একফালি চাঁদ দেখিনা বহুদিন তবু দেখি সন্ধ্যা আকাশে মেঘ
এত এত কিছু, এত এত মানুষ পিছুপিছু, কাগজ আর কলমের রেষ
আয়নায় মুখ লুকিয়ে রাখি পাছে মিশে যাই আমি এদের ভিড়ে
নিজেকে নিয়ে কত সচেতনতা, সবার থেকে কেড়ে নিয়েছি বিভাজন আর সৃষ্টির সুখ
দুঃখিত পৃথিবী তোমাকে বঞ্চিত করছি ; এ এক আজন্ম অসুখ