'বাঁচান'


ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুভবের প্রত্যাশায়
পৃথিবীকে কেজি দরে বেঁচে দিয়েছি ;
প্রজাপতির ডানা ধার নিয়ে বসে আছি এক মানুষখেকো গাছের কাছে,
আমাকে বাঁচান, বাঁচান, বাঁচান।


আপনি ওঠে আসুন,
আর কতকাল ডুবে থাকবেন?
ভেসে থাকুন, ভাসিয়ে রাখুন,
মহাপ্লাবনের কাল অবশ্যম্ভাবী,
আমাকে বাঁচান, বাঁচান, বাঁচান।


হৃদয়ে কৃষ্ণগহ্বর জন্ম দিয়েছি,
সব অনুভূতি শুষে নেয় ;
চোখের আশেপাশে জড়োসড়ো হয়ে আছে মেঘ
ঝরে পড়ছেনা আকাশের অভাবে,
আমাকে বাঁচান, বাঁচান, বাঁচান।


সেই আলোতে আমার অধিকার নেই,
বেঁচে রয়েছি স্পর্শের আঘাতে ;
দমকা একগুচ্ছ হাওয়া এসে,
নোংরামোতেই খুঁটি গেড়েছে।


প্রবল অনুরোধ, যাবতীয় আক্রোশ,
পৃথিবীর প্রতি প্রণয়,
আর – নিজের জীবন উচ্ছনে যাবে জেনেও,
আমাকে বাঁচান, বাঁচান, বাঁচান।


আমি খুব সম্ভবত স্বর্গ থেকে বিতাড়িত,
অভিমান দিয়ে তাই আষ্টেপৃষ্টে জডিয়ে আছি
পাখির পালকের মতো ডুবে যাচ্ছি
সপ্তম আকাশের ঘনঘটা থেকে,
আমাকে বাঁচান, বাঁচান, বাঁচান।