আমি যে এক কোনে বাঁইচা আছি জানো?
জানো আমার সকাল সন্ধ্যা কাটে কোথাকার বেঞ্চে?
তুমি মনরে কবি বানাও আর আমারে বানাও কবিতা
তোমারে যাইতে দেহি, আসতে দেহি
উঠতে দেহি, বসতে দেহি
তোমারে এসব কইলে তো নামকরা মনোবিদের কাছে পাঠায় দিবা
পাঠাইবা না, বলবা- "খোঁজ নিয়ে দেখতে পারো
তোমার মেইবি কোনো সমস্যা আছে"
অথচ আমি কথার মাঝে ইংরেজি ঝাড়লে সেইটা অদ্ভুত শোনায়
শোনায় না? রিকশাওয়ালার ভাগ্য ছিনিয়ে নেই?
ছিনিয়ে নেই?
রিকশা কেন এমন উন্নত প্রাণীদের দুনিয়ায় টিঁকে থাকবে?
কেন আমার এই বালসাল আলাপ তোমার কাছে পৌছাবে না?
নিজে যেচে গিয়ে বলমু? "একটা কবিতা পড়বা?"
" হ্যাঁ, পাঠাও"
বাহ! সুন্দর হয়েছে " এবার নিজেরে উচ্ছিষ্ট মনে কইরা ডাস্টবিনে গিয়ে পইড়া থাকতে পারো
তোমারে দিয়া বিপ্লব বা প্রেম, কোনোকিছুরই কিছু আসে যায়না
তোমারে দিয়া তোমার রেগুলার খাবার হোটেলের কিছু আসে যায়না
আসে যায়না ঐ আদর্শবাদী বেশ্যার
জাতে উঠতে চাই, আদর্শ চপকাতে চাই
রাস্তায় না থেকে রিকশার চেইনে ঝুইলা পড়তে চাই
সংস্পর্শে যেতে চাই, সং সাজতে চাই
তাও তোমার শুদ্ধতা নষ্ট হবে কি? পূর্ণিমা হইয়া জন্মাইছো –
গায়ে কলঙ্ক লেপ্টে যাক
আমার থেকে বড় কলঙ্ক আর কী-ই বা হতে পারে
তোমারে কেন দেহি? কেন চোখ ঠাওর পায়না?
চোখ কেন তোমারে দেহে?
চোখের কী খায়া দায়া কাজ নাই? চোখ কেন তোমারে দেখবে?
মন কেন চাইবে সময় যেন হোক বাথরুমের টাইলসের নকসা
কেন এই মূহুর্ত গুলো মূহুর্তেই থামেনা
তোমারে টানা রিকশা কেন ব্যাটারিচালিত হবে
তোমার লাইগা কেন ওমন মাদারচোদের জন্ম হবে
ডিস্কাউন্ট অডিপাস হালায়, সাপ দেইখা খেঁচে
ওর মুখের বুলির উপর মুতি
আগের কবিতা থেকে লাইন ধার নিয়া কইতেছি
হাওয়া খাইতে খাইতে আফসোস করতেছি, তোমারে খাওয়া হইলোনা
চোখ বন্ধ কইরা যে মঞ্চে নিজেরে আবিষ্কার করি
যার ফার্স্ট কয়েকটা সিটে তুমি নাই, তুমি আস নাই
কেননা আমি তুচ্ছ আর তুই আদর্শবাদী সমাজ পাল্টানো প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
তুমি ফেসবুকের ওইসব চোদনা যাগোরে ঘৃণা করি
ঘৃণা করি কারণ তাদের অগ্রাহ করতে পারিনা
তাদেরকে আপনাইতে পারিনা, পারিনা তাদেরকে নিয়া বিব্রত থাকতে
এইরকম প্রয়োজনীয় ঘাতক তুমি
এইরকম প্রয়োজনীয় সমাজতান্ত্রিক আদর্শবাদী বেশ্যা
কারও ডাকে সাড়া না দেওয়ায়, কারো সাথে দেখা না করায়, কারো ঠুংকো আত্নবিশ্বাস আর সারফেস লেভেল নলেজে মুগ্ধ না হওয়ায়, কারো মনটাকে বুঝতে না পারায়
যে নিজের জীবনকে স্বার্থক ভেবেই আগাচ্ছে