এ যে শোনো তরুণ-যুবা
পেতে রঙিন দোলা,
কক্সবাজারে এসো তুমি
যাবে নাকো ভুলা ।
দুর আকাশের দিকে দেখি
দেখি সাগর জলে,
নীল আকাশের নীলাভ রং
গেছে জলে মিলে ।
দূর গগণের সূর্যিমামা
বাসে তাকে ভালো
সারাটি দিন চেয়ে চেয়ে
জ্বালায় স্বীয় আলো ।
ভোর বেলাতে দেখি তাকে
নীল গগণের পুবে
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই
সাগর বুকে ডুবে ।
সারাটি রাত সাগর বুকে
ডুবে থাকে একা,
পরের ভোরের পুবাকাশে
দেয় যে আবার দেখা ।
নিঝুম রাতে চন্দ্র মামা
দূর আকাশে উঠে,
জোছনা নামের সুধা তিনি
সাগর জলে ছিটে ।
মিষ্টি-মধুর, শুভ্র-শীতল
জোছনা-সুধা পেয়ে,
ঢেউয়ের রাণী জোয়ার ঘটায়
সুধায় মাতাল হয়ে ।
চাদের রূপে পাগল হয়ে
থাকে দিবা নিশি
সেই কারণে হয়তো সাগর
নাচায় জলরাশি ।
নীল-শুভ্র ঢেউয়ের সাথে
বালি খেলে খেলা,
খেলার সাথে জমে উঠে
ঝিনুক দলের মেলা ।
ছোট-বড় ঝিনুক কত
আসে সাগর পাড়ে,
বালির প্রেমে পড়ে ঝিনুক
বালিতেই যায় গেড়ে ।
বর্ষা দিনে ক্ষণে ক্ষণে
মেঘমালা আকাশপানে
শুভ্র ছোয়া বিলিয়ে দিয়ে
জলের কণার জালক বুনে ।
ভালবাসার স্বীয় পরশ
প্রকাশ করে মেঘ,
বৃষ্টি দিয়ে সাগর জলে
বাড়ায় ঢেউয়ের বেগ ।
সাগর জলের পাড়ে দেখি
ঝাউবাগানের মেলা,
সারটি ক্ষণ দাড়িয়ে থাকে
দেখতে ঢেউয়ের খেলা ।
সকাল-বিকাল, সন্ধ্যা-রাতে
এসে সাগর তীরে,
কালো ধলো, ধনী গরীব
হিমেল হাওয়ায় ভীড়ে ।
অপরূপ সব রূপের খেলা
দেখতে লাগে ভালো
তাইতো বলি ওগো তরুণ
সাগর দেখতে চলো ।
রূপের রাণীর রূপের পরশ
পাবে মনে শুভা,
কক্সবাজারে এসো তুমি
ওগো, তরুণ-যুবা ।