ধর্মের চকচকে  ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে ধর্মের তথাকথিত রক্ষক।
সামনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানবতা-শিশু,
পৃথিবীর বিষ এখনো তাদের গায়ে সামান্যটুকুও লাগে নি।
ধর্মকর্তা ছুরির ফলা লাগিয়ে চিরে যাচ্ছে মানবতা-শিশুর কোমল বুক-
খলখল করে বের হয়ে আসে টকটকে লাল রক্ত।
সামান্যটুকুও পাপ নেই সেই রক্তে,
নেই কোনো সাম্প্রদায়িকতার পঙ্কিল কণিকা।


আমি মানুষ, কবি!
সাহস করে সহসা একদিন দাঁড়ালাম ধর্মকর্তার সামনে-
সে বলল, কে তুমি? কি চাও?
আমি বলেছি, আমি কবি, মানবতা চাই কিছু।
উত্তর আসলো, দূর হ, শালা।
মানবতা নামে কিছু নেই পৃথিবীতে।
সব তোদের কবিতা লেখার ধান্দা ছাড়া আর কিছু নয়।
যা শালা, ভাগ-


এরপরেও তার সাথে আমার কয়েকটি কথা হলো-


"যে শিশুকে তুমি হত্যা করলে তার দোষ কি?"
"তার দোষ সে মুসলমান।"
"তোমার সন্তানকে অন্য কেউ হত্যা করলে- তা কি মেনে নিবে?"
"কেন কি দোষ তার?"
"সে যে বৌদ্ধ-রাখাইন!"
"বৌদ্ধ-রাখাইন হওয়া কি দোষের কিছু?"
"মুসলমান হয়ে জন্মানো কি বড় বেশি দোষের?"


https://www.facebook.com/sadmansakil