থামুন! কই যাচ্ছেন? ঐ রুমে কবি কবিতা নির্মাণ করছে।
কবি হাঁটছিল লেকের পাড় ঘেঁষে,
তারপর হঠাৎ নেশা উঠল তার!
কবিতা লেখার আদিম অবাধ্য নেশা!
.
কবির চিন্তার খেলাঘরে নানা ধরণের শব্দ খেলা করছে,
তারপর হঠাৎ কোনো প্রিয় শব্দকে বুকে টেনে নিয়ে শুরু করে দিল কবিতা নির্মাণ।
বহুতল দালানের নির্মাণের মতো এক একটি পঙ্কক্তি নির্মাণ করছে কবি।
এক একটা শব্দ এক একটা ইট,
এক একটা বাক্য এক একটা দেয়াল,
এক একটা স্তবক এক একটা কক্ষ।
.
কবি নির্মাণ করছে কাব্য-দালান,
কবি নির্মাণ করছে কাব্য-শহর,
কবি নির্মাণ করছে কাব্য-রাষ্ট্র,
কবি নির্মাণ করছে কাব্য-পৃথিবী,
কবি নির্মাণ করছে কাব্য-মহাশূন্য,
কবি নির্মাণ করছে ব্যাখ্যাতীত পঙক্তিমালা।
.
কবিতা-শ্রমিক কবির শ্রম দেখলে অবাক হতে হয়।
আমরা কেমন সহজ সরলভাবে কবিতা পড়ে ফেলি
(বা পড়ি না) কিন্তু-
কবিতার প্রতিটা পঙ্কক্তি নির্মাণ করতে কত শ্রম,
কত চিন্তা, কত নেশা, কত ধোঁয়া উড়াতে হয়েছে-
কেউ কি জানে, কেউ কি ভেবে দেখেছে একটিবার?
.
কবিকে কবির মতো চলতে দাও,
কবি লিখুক। কবিকে "ভালোবাসি" বলো না।
কবিকে কোনো কাজে ডেকো না
বা কবিকে বলো না-
বাড়িতে ভালো রান্না হয়েছে। আসো, খেয়ে যাও!
কবিকে বলো না তোমার প্রেমিকা মারা গেছে,
তুমি কি এখন কবিতার খাতা থেকে কলম তুলবে?
কবি লিখুক! পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যাকে চিন্তার সাগরে ডুবিয়ে মেরে-
কবি সাগরতীরে তৈরি করুক কবিতা-প্রাসাদ!
.
কবি লিখছে, ওদিকে যেও না...
কবি লিখছে, কবিতা লিখছে...
------------------------------
সাহিত্য সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সাহিত্য সম্পাদক, গ্লোবালপোস্ট২৪ডটকম।