হাতের ভেতর কলম আর কবিতাটার খাতাটি নিয়ে-
গভীর রাতে সেদিন আমি একাকী ছাদে উঠেছি।
বুকে আমার কালো কালো কষ্টরা কবে কিভাবে
বিশাল বিশাল গর্ত করে ফেলেছে, বুঝতেই পারিনি।
আমি ঐ গর্তগুলোর মুখে গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেছি,
আমার রঙিন ও রঙহীন স্মৃতিগুচ্ছ গর্তগুলোকে আরো গভীর করে দিচ্ছে।
আমার আত্মীয়-আপন-স্মৃতিগুলো এতো বড় বিশ্বাসঘাতী হবে- চিন্তা করিনি।
আমি এখন ছাদে, অতি একাকী একটা ছাদে!
বিকট-বিষন্ন-বিশাল ছাদটি আমাকে অদৃশ্য ভাষায় বলছে,
"ওহে বোকামানব, এত কষ্টেও তুমি আত্মহত্যা করছ না কেন?"
আমার চোখদুটিতে অদৃশ্য এক দূরবীন লাগিয়ে
দূর পাহাড়ের ঐ ছোট্ট কুটিরের আশপাশ দেখছি।
সেখানে আমাকে ভালো-বেসেবেসে নষ্ট হয়ে যাওয়া মেয়েটি বসে আছে।
আমি কেন কষ্ট পাচ্ছি নিজেই জানি নাহ!
দুঃখগুলো আমার হৃদয়ে কামড়ে দিয়েছিল তাই?
নাকি সুখগুলো অতি আদরে হৃদয়ে চুমু খেয়েছিল তাই?
গন্ড-মূর্খ, অত্যন্ত দুঃখী(অত্যন্ত সুখিও) এই কবিটি
একাকী ছাদের সাথে মিশে যাচ্ছে।
এইতো আমার পা ডুবে গেল,
এইতো আমার হাঁটু গেল,
এইতো গেল কোমর, এইতো গ্রীবা,
এইতো আমার সুন্দর চোখদুটি।
ডুবে যাচ্ছে চোখদুটি, চোখদুটি কাঁদছে।
ছাদে মিশে গিয়ে আমি আজ অন্ধকারের গ্রীবায় বসে আছি, অনন্তকাল...