নুরুদ্দিন তুই কোথায় গেলি আয়রে ছুটে আয়,
বাপ কান্দে তোর মায়ে কান্দে বইসা বারান্দায়।  
তোর ফসলি জমি কে দখল করে কোন লুটেদের দল,
কোন চামারে নষ্ট করে এমন সোনার ফসল।
তোর হাড়ির ভাতে কে ভাগ বসায় ভাই কে দেয় তোরে ক্ষুধার জ্বালা,
কে কাড়িয়া নেয় তোর বাবার দেওয়া মায়ের  হাতের সোনার বালা।
তোর বইন..রে কে উত্তক্ত করে নিত্য ঝরায় চোখের জল
গর্জে উঠো বজ্রসম দেখারে তোর গায়ের বল।
আমরা তো ভাই বাংলা মায়ের দামাল ছেলে কামান দেখে পাইনা ভয়,
বাঁশের লাঠির পিটুনি দিয়া ছিনিয়ে মোরা আনি জয়।
নুরুউদ্দীন তুমি পিতা-মাতার একটি মাত্র ছেলে
পিতা চেয়ে আছে তোমার পানে মাতা নয়নের জলে
কাদছো তুমি মন্দিরে বসে নয়ন নীরে ভিজে চট,
ভাবছো দেবতা আসিয়া ফেরেস্তা আসিয়া রক্ষা করিবে তব সম্পদ ।
শোষনের বিরুদ্ধে হও সোচ্চার গড়ে তোল প্রতিরোধ,
জমিন ফাটিয়া আসিবে জোঁয়ার আসমান ভেদিয়া রোদ।
তবেই প্বাশে রবে দেবতা তোমার সাহায্য করিবে ফেরেস্তা,
নিমিষেই শত্রু বিনাশ  হইবে  পেয়ে যাবে স্বাাধীনতা।
ফিরবে তোমার ফসলি জমি ফুটবে মায়ের মুখে হাঁসি
সরবে পিতার গলা হতে দরিদ্রতার ফাঁসি।


বিঃ দ্রঃ- আমাদের গ্রামে কিছু ক্ষমতাধারী লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া, দরিদ্র মানুষদের খাদ্যশস্য নষ্ট করে জমিন গুলো অন্যায় ভাবে দখল করে নিচ্ছে। এসব দেখিয়া সহিতে না পারিয়া প্রতিবাদী ভাব লইয়া লিখিয়াছি, হয়তো কাঙ্খিত মানের হয়নি। যাইহোক দখলদারির হাত থেকে কিভাবে এই নিরীহ মানুষগুলোর জমিন গুলো রক্ষা করা যেতে পরে সে বিষয়ে আপনাদের মতামত আশা করছি।