পাকা ধানের গন্ধে রে ভাই মন আনচান করে রে ভাই মন আনচান করে,
দুলছে সদাই ধানের পাতা ঘূণি হাওয়ার ভরে।
মাঝখানে তার কাকতাড়ুয়া ঠান্ডা হাওয়ার সনে,
উত্তর দক্ষিণ দোল খেয়ে যায় মজে দারুন প্রেমে।
সেইখানে তে গাঁয়ের বধু ঘাস কাটিতে য়ায়,
আইলপথে দাড়িয়ে হেঁসে আমার দিকে চায়।


কাজল কালো নয়ন দুটি সোনা বরণ গা,
চিরল চিরল হাত দুখানি নুপুর পরা পাঁ।
হঠাৎ যখন এসে দাড়ায় মাথার ঘুমটা ফেলে,
মন বাগিচা ভরে উঠে হাজার রঙের ফুলে।
পাকা জামের ফলে রাঙাতে ঠোটদুটি,
মিষ্টিমুখটা রাঙ্গা করে হাসে কুটি কুটি।
গঙ্গাফড়িং তার শাড়ির পাড়ে দোল খাইবে বলে,
সাতটি রাঙের সাতটি ফড়িং ছড়ায়  দলে দলে।
হলদে রঙের শালিক পাখি বলে পেখম মেলে,
ফিরব নীড়ে কন্যা তোমার শাড়ির পাড়ে খেলে।
বৃক্ষ রাজি রোদ্র দেখে বলে কন্যা আয়,
তোরে আজি জড়িয়ে নেব আমার সবুজ ছায়।
সে যখনে আনন্দ পেয়ে লাজুক হাসি হাসে,
তাহার হাসির দোসর হয়ে সন্ধাতারা ভাসে।


যখন ঘাসের ডালি কাঁকে করে বাড়ির পানে ছোটে রে ভাই বাড়ির পানে ছোটে,
কি জানি হায় হারার ব্যথায় বুকটা দূরু  কাপে।
জানি নে তো সে কোন সে বাড়ির এমন রাঙা বউ,
কোন বাগানের রাঙা গোলাফ কোন সে ফুলের মৌ।
এই বধুটার সাথে যদি তোমার আলাপ থাকে,
বলো তারে আবার যেনো ঘাস কাটিতে আসে।।।