নারীর জীবন অনেক সময়ই হয় নিরব সহ্য আর চোখের অদৃশ্য কান্নার সমাহার।
এই কবিতায় আমি তুলে ধরেছি এক গরিব ঘরের মেয়ের কথা—যে ভালোবাসার আশায় স্বামীর ঘরে এসেছে, কিন্তু পেয়েছে অবহেলা, অবজ্ঞা আর ক্রমাগত অপমান।
শুধু যৌতুক দেয়নি বলেই তাকে রাখা হয় মেঝেতে, শুনতে হয় বাবার নামে কটুকথা—যা তার হৃদয় ভেঙে দেয় প্রতিদিন।
এই কবিতা শুধু একটি নারীর গল্প নয়—এটি সমাজের সেই করুণ বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেখানে অর্থ দিয়ে নারীর মর্যাদা মাপা হয়।
স্বামীর ঘর ১
আমার ঘরের মানুষ পরের মতন
করে আচরণ,
আমায় রাখে মেঝে তে সে
খাটে করে শয়ন।
দেয়নি খাট পালংক আমার বাপে
দেয়নি টাকা কড়ি,
গরিব হওয়ার অপরাধে আমার
এমন পরিণতি।
কথায় কথায় শাশুড়ি মা
দেয় যৌতুকের খোঁটা,
কয় কেমন বাপের বেটি তুই
কেমন তোর বাবা।
বললে বাবার নামে মন্দ কথা
মনটা খারাপ হয়,
স্বামীর ঘরে আমরা নারী
ভীষণ অসহায়।