এই কবিতায় এক গৃহবধূর নিঃশব্দ যন্ত্রণা, অবমূল্যায়ন এবং সংসারে তার ন্যায্য মর্যাদা না পাওয়ার বেদনা প্রকাশ পেয়েছে। নারী হিসেবে, পুত্রবধূ হিসেবে তার অক্লান্ত শ্রম, ভালোবাসা, আর সহ্যশক্তির মাঝে সমাজ এবং পরিবারের চোখে তার ‘ভুল’ যেন বড় হয়ে দাঁড়ায়। কবিতাটি আমাদের জানিয়ে দেয়, সংসারের শান্ত মুখোশের আড়ালেও থেকে যেতে পারে এক অসহায় হৃদয়ের কান্না।

স্বামীর ঘর ৫


স্বামী আমার সারাটাদিন
খেত খামারে থাকে,
বাড়ির ভেতর দাসির মতন
আমিও যাই খেটে।

সেদিন কাপড় কাঁচতে দিয়েছিলো,
আমার শাশুড়ি,
তাই ভাত রান্ধিতে আমার একটু
হয়েছিলো দেরি।

বিকেল বেলা স্বামী আমার
বাড়ি যখন আসে,
শাশুড়ি মা আমার নামে
লাগালো অনেক মিছে ।

স্বামী রেগে গিয়ে আমার উপর
তুলল গায়ে হাত,
আমি নাকি সময় মত
তার মাকে দেই না ভাত।