দেখো, শূন্য করিয়া দিলেম হৃদয়ের গহীন গৌরব,
নির্বাক কল্যাণবোধে বিলায়ে দিলেম স্বপ্নলোক।
উৎসবের ঢাক না বাজিল, ছিল না প্রদীপের আলো,
তবু দিয়াছিলেম নিঃশব্দ অঙ্গীকার—
অপলক শ্রদ্ধায়, নিরুপাধি আকুতি ছুঁয়ে।
নয়নের তটে ছিল অবসন্ন প্রতীক্ষার দীঘি,
জল ছিল না—ছিল শুধু জ্বলন্ত প্রতিফলন
তোমার একটিমাত্র চাওয়ার।
সে চাওয়া এল না কখনো—
শুধু গেলাম আমি অশ্রু ফেলে ফেলে
দানে দানে নিঃশেষ করে দিতে সমস্ত আর্তি।
আজ, অভিমানে নয়,
এক বিষাদহীন বোধে ফিরে তাকালে দেখি—
সে সকল দান, ছিল শুধুই দানের খেলা,
অধিকার ছিল না কোথাও,
নির্বাক হাহাকারে উড়ে গেছে সেতুসম্ভব সব সেতু।
চাহিনি কিছু ফেরত,
তবুও হৃদয়ের গভীর বনে কখন যেন
একটি শব্দ উঠে—
“এমন আত্মসমর্পণ কি অপমান নয়?”
তবু তো ভালোবাসা এমনই এক আত্মা—
যে নিজেই নিজেকে পোড়ায়,
অথচ কখনো কারো চোখে
জ্বলন্ত দাবানলের ছায়াও ফেলে না।