ধানের গন্ধে ভরে ছিল বাতাস—
পাখিরা ফিরছিল পশ্চিমাকাশে,
আর আমি হাঁটছিলাম একা,
তালগাছের ছায়া মেপে মেপে
সন্ধ্যের আগে একটু বাঁচার চেষ্টায়।
কোথাও কোনো কুয়াশা ছিল না তখন,
তবু চোখের ভেতর ঝাপসা সব—
লতাপাতা যেন নিঃশব্দে হেঁটে যায়,
মাঠে পড়ে থাকা মাটির সোঁদা গন্ধে
আমি খুঁজি সেই হারিয়ে যাওয়া সকাল।
মাঝেমধ্যে কাঁপে বাতাস,
একটি শুকনো পাতার মতো স্মৃতি
উড়ে এসে পড়ে বুকের পাশে—
আমি ঠাঁই দিই না, তবু সে থেকে যায়—
পিঁপড়ের মতো চলতে থাকে চুপে চুপে।
শালিক পাখি ডাকে দূর থেকে,
আকাশে ভেসে ওঠে এক রেখা—
কেউ যেন বলেছিল, “তুমি কি আমার নাম জানো?”
আমি কিছু বলিনি, তবু ঘাসে লেখা থাকে—
আমার নিঃশব্দ হ্যাঁ।
এ জীবনের মতোই মাঠটিও ফাঁকা,
অথচ এত পূর্ণ, এত বিস্তৃত—
যেন আমি একমাত্র হেঁটে যাই তার বুকের ওপর
নিজেরই ছায়ার পেছনে ছুটে ছুটে—
যেখানে সূর্য ডুবে যায়,
অথচ অন্ধকার নামে না।