আকাশ আজ যেন ধূসর অলিন্দে ঢেকে,
বিষণ্ণ মেঘেরা নিঃশব্দে হেঁটে চলে বনপথে।
দিগন্তে আঁচল মেলেছে নিস্তব্ধ এক দেবী—
তার পদচারণায় থেমে গেছে সমস্ত ঝরাপাতা।

ছায়াঘেরা শাল-পিয়ালের গভীরে
ঝিঁঝিঁর ডাক যেন পাঁজরে কাঁপন তোলে,
পাতার ফাঁকে আলো আজ খেলছে চুপিচুপি—
কে যেন আসে, কে যেন থেমে যায় অন্তর গহীনে।

গন্ধরাজের নরম ঘ্রাণে মিশে গেছে
এক নারীর অলীক উপস্থিতি,
বায়ুর ওমে দুলছে তার চঞ্চল কায়া,
যেন কোনো অপূর্ব আকাশের দূতী।

এই নিঃশব্দ বন, এই বিষণ্ণ জ্যোৎস্না,
এই ধূলিধূসর গোধূলির প্রান্তর—
সব যেন সাক্ষী, এক অব্যক্ত মিলনের,
যেখানে চোখে দেখা যায় না, তবু হৃদয়ে স্পন্দন বাজে।

তুমি কি শুনছো?
পত্রপুটে কাঁপে সে—
ভয়ের, প্রেমের, কিংবা স্মৃতির?
না বলা আবেগ, স্নিগ্ধতা আর সংশয়ের।

সে আসে না কোনো নাম নিয়ে,
সে যায় না কোনো দুঃখ ফেলে,
সে শুধু থাকে,
এই বনভূমির প্রতিটি স্পন্দনে,
এই কুয়াশার চুম্বনে, এই মাধবীর মৃদু ঘ্রাণে।