এই যুদ্ধে বাঁচতে হবে, নিজেকে বাঁচাতে পারলেই
লেখা হবে যুদ্ধজয়ের ইতিহাস।
নিজের সুরক্ষা মানে প্রতিপক্ষের শিবিরে আক্রমণ।
যারা নিজেকে বাঁচাতে লড়বে না,
তারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস।
এই যুদ্ধে আমরা সবাই সৈনিক;
আমাদের হাতে থাকবে জীবাণু প্রতিরোধক,
থাকবে নাকে-মুখে জীবাণুরোধী মুখবন্ধক।
জীবাণুর বিরোদ্ধে যুদ্ধ মানেই
পরস্পর দূরত্ব বজায় রেখে চলা,
নিজেকে নিরাপদ রাখা, অন্যকে নিরাপদ রাখা,
জীবাণুকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়া।
আমি যদি আক্রমণের স্বীকার হই,
নিজেকে আইসোলেশনে রাখা মানে আমি বীর যোদ্ধা।
গৃহবন্দী থাকা, কারও সংস্পর্শে না যাওয়া মানে
আমি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আর যারা জীবাণুর সাথে আঁতাত পেতেছে,
ঘুরছে এখানে-সেখানে, বাড়াচ্ছে জীবাণুশক্তি,
তারা কুলাঙ্গার, তারা দেশদ্রোহী।
আমি সে সকল বন্ধুদের স্যালুট জানাই
যারা নোবেল করোনার বিরোদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে।
নার্স, ডাক্তার, সেবক যারা ইতোমধ্যে যুদ্ধের ময়দানে,
তারা আমাদের সেক্টর কমাণ্ডার;
তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী
আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
আর যারা নিজের দায়িত্ব পালন করবে না,
জাতি তাদের চেনে রাখবে;
তারাই ভবিষ্যতের মীরজাফর, ঘষেটি বেগম।
এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে,
এই যুদ্ধে জেতা মানেই আরেকটি নতুন পৃথিবীর জন্ম।
--------------------------------
রচনা: ২৪/০৩/২০২০ ইং, চট্টগ্রাম।