সূতির পাঞ্জাবী, ধুতি আর কালো বেঢপ ব্যাগ নিয়ে
বাবা যেতেন সাগরদ্বীপ, গৌরগঙ্গা থেকে গঙ্গাসাগর
মাঝখানে ধর্মতলা- আহার বিশ্রাম
কোনদিন জানতে চাই নি কতদূর সেই পথ, যেখানে তার বিদ্যালয়
অন্য আকাশ, ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন... ভিন্ন... ভিন্ন সব
অভিন্ন শুধু বাবা ।


তার এক হাতে সাম্যবাদ, অন্য হাতে চৈতন্য, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ
বাবা বই কিনতেন, যত্ন নিতে পারতেন না
উনি বলতেন, কষ্টেসৃষ্টে বই কেনা যায়, আলমারি বহুদূর!


বাবা বিনাবেতনে সকালে ছাত্র পড়াতেন, রাত্রে নিজে পড়তেন, লিখতেন
স্বপ্ন দেখতেন বহিরঙ্গে সাম্য নয়, অন্তরঙ্গে সাম্য- প্রকৃত সাম্যবাদী সমাজ
বাবা স্বীকৃতি পান নি


বিশ্বায়নে যখন স্বীকৃত সাম্যবাদীদের বহিরঙ্গ খসে পড়ছে
তখন বাবার কথা খুব মনে পড়ে
তিনি ম্যাজিক কণ্ঠে বলছেন -
চৈতন্যহীন ছাত্রের খাতায় কোন মার্কস দেওয়া যায় না...