প্রভাত !


ঘন কুয়াশায় শিশিরমাখা সেতুতে
শুভমিতার সাথে ভিজছে ভালোবাসা
মাহেন্দ্রক্ষণ আড়চোখে দিল ইশারা
তবু মালয়লম চিত্র আঁকা হোল না
ঝুলন্ত লৌহ রিং-এর শিরদাঁড়া ঘেসে
অনাহূত সবিতার ফুলস্কেপ
প্রণয়াকর্ষণ মুখ ঘোরায় বিকর্ষণে
আবার মুহূর্তের প্রতীক্ষা ।


মধ্যাহ্ন !


শীতের রোদে ট্রামের বাসরে
হুমড়ি খেয়ে ঢোকে প্রণয়াশ্লেষ
খৈনি, জর্দা, সিগারেট গন্ধে
শুভমিতার প্রতিকৃতি হার মেনে চুপ
খসখসে তাঁতের শাড়ির পাড় ভেঙে
নেমে আসে জনসমুদ্রের ব্যস্ততা
পাঞ্জাবি হোটেলের ডিম-ভাত যেন,
অমৃত- শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ।


বৈকাল !


মিষ্টি রোদের অন্তরঙ্গতায়
সবুজ ঘাসে ক্রমহাসমান সময়ের দিনলিপি
এত তাণ্ডব সয়ে শুভমিতা নির্বাক
মুখোমুখি দূরত্বে লোকচক্ষুর গ্রাসে
পুরানো বাংলা চিত্রের রঙিন প্রতিরূপ
পোখরাজ শোভিত মোম আঙুল
আঙুলে রাখা লজ্জাজনক
রক্তিম আভা নিয়ে আসে সায়াহ্ন ।


সায়াহ্ন !


এবার হাতে হাত এসে যায়
চারিদিকে এত আলো - শুভমিতা অন্ধকার
অবিরত ভাবনার তাৎপর্য বোঝা দায়
রোমান্টিকতা হারিয়ে গেছে দিনান্তে
ঝোঁক তার বিকিকিনি
মার্কেট প্যাকেট সঙ্গে এগচাউমিন
কড়া ফুচকার জিহ্বা জ্বালানো হাসি
ট্রেনের জানালায় হাওয়া খেয়ে ঘরে ফেরা ।


রাত্রি !


ক্লান্ত শুভমিতা রাত্রিস্নান সেরে
হেঁশেলের দরজায়, একটি ব্রেক চাই
ফিরে এল সর্বাঙ্গ ভেঙে
সবসিদ্ধ ডিনার হাঁপিয়ে ওঠে
মধুময় এই রোববারের মতো
বিছানায় বুকে লাগে রেখে যাওয়া
সন্তানের আর্তনাদ - পাশে কাজপাগল
মানুষটার নিদ্রাধ্বনি


উড়ে যায় রাতপাখি