সন্ধ্যার আকাশে শেষ ক্ষণে
নন্দীবাবু আসিতেছিল নদীর ওপার হইতে
পাল তৌলা নাওয়ে চড়ে;
এমন সময় ধান খেতের আড়াল দিয়ে
কিছু লোক যেতেছিলু কাঁধে করে পালকি নিয়ে ।
নন্দী তা দেখিয়া মাঝিকে কহিল
নাওখানি সামনে ভিড়াও দেহি;
সহসা-নন্দী চিৎকার করিয়া কহিল
ওহে, কাকাবাবু পালকিতে চড়াইয়া
কোন দিদিকে নিয়ে যাচ্ছ কোন বা ই গাঁয়ে ?
কাকাবাবু কহিলেন-
তোর দিদিকে নিয়ে যাচ্ছি ওই দু’গাঁয়ের পরের গাঁয়ে ।
নন্দী উত্তর শুনিয়া
নাওয়ে বসিয়া থাকিল চুপ করিয়া ।
মাঝি নাওখানি ঘাটে ভিড়াইল
নন্দী নামিয়া হাঁটা শুরু করিল তাহার বাড়ির দিকে ।
এমন সময় বন্ধু সুশীল বসেছিলু ছায়াতটের নিচে,
নন্দী দেখিয়া তাহার সামনে গেল হাঁটিয়া,
কহিলেন; কীরে সুশীল-
তোর বিয়েটা হচ্ছে কবে? কোন গাঁয়ে ?
সুশীল মুখটি আলতো ফুলিয়ে কহিল;
ঠাকু মা কহিছে বয়স হইলে দিবে নাকি আমার বিয়ে ।


নন্দী চলিয়া গেল বাড়িতে
ঘরেতে ঢুকিয়া নন্দী গেল চমকাইয়া
মা তাঁহার কহিলেন- লাল টুকটুকে বউটা
তোর দাদা এনেছে বিয়ে করিয়া ।
মা তাঁহার হাঁসিতে হাঁসিতে কহিলেন
এবার নন্দীবাবুর বিয়ে দিব দুমধামে
সারা গাঁয়ের লোকজনকে জানাইয়া ।
নন্দী কহিল- না’ গো মা
বয়স আমার হয়ে নেক
তাঁরই পর করিব আমি ইয়ে !!