বক্ষের অন্তরালে ধুক ধুক ব্যথা, বেশ কিছু দিন যাবত
আমি গৃহ-বন্দি, আমাকে বিশ্রামে থাকতে হবে।
শুয়ে বসে থেকে দিবা রাত্রির প্রতিটা মুহূর্ত
আমার কাছে ভারি তিক্ত ঠেকাচ্ছে। প্রশান্তি নেই কোথাও।
অনেকদিন নিশির তারাদের সাথে আলাপ জমেনি।
প্রেম জাগ্রত হয়নি বিধুর জন্যি। তর যেন আর সইছে না।
অনেক আলাপ অনেক প্রেম জমে আছে। আমি যাব।


ভোর রাতের আজান আমার কানে ভেসে আসছে।
আজ হঠাৎ মসজিদের পানে মন ছুটে যাচ্ছে।
নামাজ শুরুর ঢের বাকি। একটু জিরিয়ে নেই।
পাঁচ মিনিটের ছোট একটা নিদ্রা। আমাকে উঠতে হবে।
উঠতে পারছি না। উঠন থেকে দাদির ডাক আসছে ।
তোরা কই? বিনি, লতা, মিঠু ওরে আমার নাতি কই?
আমি অবাক! দাদিমা এই দেখো আমি এখানে শুয়ে,
উঠতে পারছি না। আমাকে উঠিয়ে দাও, পানি খাবো বলে
চিৎকার করছি, কিন্তু! কিন্তু কেও শুননে না।


শুনেনা নাকি শুনতে পাই না? একটু ভয় পেলাম।
কিছুক্ষণ পরেই আমার ঠান্ডা, রক্তহীন শক্ত
শরীর ধরে মা খুব কান্না করছে। এখনো বুঝছি না।
মা ও মা কি হয়েছে তোমার? কাঁদছ কেন? ও মা!
এইবার একটু বেশি ভয় হচ্ছে। ধীরে ধীরে কান্নার
আওয়াজ বাড়তেই আছে। মা-বাবা, দাদি মা-
বিনি, লতা মিঠু সাথে যোগ দিলো পাড়ার আত্বীয়রা।
যতই কান্নার আওয়াজ আমার কানে আসছে ততই
আমার কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে, তাদের কান্নার আওয়াজে
আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। আমি অনেক কষ্ট পাচ্ছি।
আমি স্পষ্টই বুঝে গেলাম আমি আর বেঁচে নেই।


-------------------------------- আসছে আমার মৃত্যু ২