অন্তর্নিহিত মিষ্টতার তিয়াসায়,
ভবঘুরে নয়ন মোরে ভাসায়,
অন্তর যে শুধু তাহার পানেই চায়।
প্রেম বিরোধী
যখন ব্যবধানের মাত্রাধিক
তখন দ্বিআত্মা এক হইলেও
বাহ্যিকতা বিরোধ করে।
অভাব মোর আজ সুহৃদ হিতৈষীর।
নীলকণ্ঠ স্ত্রী মহ পান্থ পথিক
হেথায় অন্বেষে অচেনা পুরুষ স্তরে।
বিধির নীলকণ্ঠেস্বর তাহায় পূর্বেই বানিয়েছে
নিজের নীলকণ্ঠ দেবশ্রীর বরে।
কিছু সময়ের ক্ষুদ্র কথাও মনে গেঁথে বায়,
ঐ বাক্য তো অন্তরে রহে যায়।
কি করেই বা বুঝিবো,
দেহ হঠাৎ দিল হারায়।
মনে পড়ে সেই ফাগুনের কথা,
যেদিন আমি উন্মুক্ত ছিলাম।
চিরহরিৎ প্রান্তরের আবর্জনা আমি!
ওহে! মোরে শুদ্ধ করো।
চিন্তাহীন বিকেলে ভ্রান্তিপূর্ণ ছলনা!
সে কী চাহনি নাকি নীরব তুচ্ছতা?
এখানেই ক্ষান্ত আমি,
মোরে শান্ত করে কে?
অভাব মোর আজ,
সুহৃদ হিতৈষী স্বপন।
ক্ষণ রহে না কারো পানে চাহিয়া,
বেগে ধায় অজস্র অশ্রু স্মৃতি বানাইয়া।
জ্বরা জীর্ণতার রীতিতে জীবন হইলো লব্ধ বল,
আয়ুষ্কাল যেন পদ্ম পাতার জল।
আত্মিক ইচ্ছা উজাড় করনের দিনে
সাজিয়াছিলাম ময়ূরী হইয়া,
আপনি বাঁশি বাজাইবেন বলিয়া।
নীল আকাশের নিচে নীলে নীলে মোরা মিলিয়াছিলাম অনুভূতি ও আবেগে।
নৃত্য মগ্নে আমি,
সুরের তালে আপনি,
কতইনা মনের মিল।
কিন্তু মোদের প্রান্ত ভিন্ন,
তারপরেও বিকর্ষণ হইতেই হইবে?
লাল শাড়ি আর লাল টিপে,
লাল চুড়ি আর লাল গহনায়,
লাল গোলাপে আর লাল রাঙ্গা দিনে,
আমি হইলাম ললনা,
আপনি সেই সবুজ নীলে,
তৈরি করলেন মোরে রঙ্গিমা,
রঙে রঙে মিশে পূজোর দিনে,
দুর দুর দৃষ্টিতে,
করলেন মোরে আপনারই প্রতিমা।
চন্দ্রেরও কলঙ্ক থাকে,
তাই আমিও চন্দ্রিমা।
বুঝিলেন না মোরে,
চোরাবালির টানে ডুবিয়া গেলেন।
তা যে সহযাত মিথ্যা,
বুঝিয়াও বুঝিলেন না।
মোরে আজ প্রাণযুক্ত শব করিয়া
কেমন দিন যাইতেছে আপনার?
হইতে আমি চাহিয়া চাহিয়া
আপনারই হিতৈষী।
সর্বজাত মঙ্গল হোক,
বিষের গীতি আমারই থাক।
সর্বংসহ আমিই হই,
কল্পনার ব্রহ্মাণ্ড সফল হইবে
হয়তো কোন অন্য লোকে।
এই কল্পেই শান্ত আমি,
মোরে ক্ষান্ত করে কে?
বেনামি উড়ো চিঠির
বিষয় মোরা, যেথায়
কত আবেগ, কত শিহরণ।
যার নাই কোন বিবরণ।
আজ সবই স্মৃতি, আমার
অশ্রু কালি তো ফুরায় না,
অভিযোগের পাতা তো
শেষ হয় না; একটি বার বলিয়া দিন
যাহা মোর হৃদয় শুনিবার জন্যে উন্মাদ।
কিন্তু হায়! হৃদয় শিরায় একত্র দুটি দেহ
প্রকাশের বেলায় মরিয়া যায়।
বিমুর্ত বিমল বিমূঢ়
প্রফুল্ল অমর্ত অনুভূতি
আজ বিলুপ্ত।
শুধু বেদনা আর বেদনা।
সর্বাঙ্গ মিথ্যা বলিলেও
নেত্রদ্বয় কি মিথ্যাবাদী?
দুটি গোলক যে আকর্ষণ করিয়াছিল,
এর মায়া কাটানো আর
বিষধর সাপের বিষ কাটানো কি
একই কথা নহে?
এদ্বয় বিস্তারের গতিবেগ প্রবল
যাহা প্রশমিত হয় না।
আমিই সত্য, আমি তিক্ত।
নিন্দুকেরাই সিক্ত।
অর্ধশত পূর্ণতা বা যতসব সংসর্গ
আজ পূর্ণতা কই সবাই তো কল্পনা।
শৈত্যের হাওয়া যে সয়না মোরে
বাসন্তী সুর যে মোরে ডাকে না।
শৈত্যের শুষ্কতায় মৃত আমি,
কাঁদায় মোরে একাবর্তন।
কি হইলো তা ভাবায় মোরে,
মরণ দাও, মোরে মরণ দাও।
ওহে সত্য, আমি অভিশপ্ত।
মোরে শুদ্ধ কর।
প্রকৃতি আমায় বরণ করো।
মোরে চায় কে?
সকলের তরে আমি বিষ,
নিষ্পাপ অবহেলিত বিভীষিকার সুরে।
ওহে সত্য, আমায় শুদ্ধ করো।
হে প্রকৃতি, আমায় বরণ করো!
বিষের সাথে সন্ধি ছিল,
একটি ফুল যে মরিয়া গেল।
বিষলোকে প্রমাণ কর
আমি কি, নাকি আমি তাই
যা তাহাদের ভাবায়।
আমি চাই পরিত্রাণ।
সুখের কান্নায় কাঁদিতে চাই,
সাগরের বুকে হারিয়া যাইতে চাই।
তোমার তরে মোরে স্থান দাও,
যেথায় আছি বিশ্বাসের ভরে।