আমার গাঁও
পদ্মা নদীর এ পাড়,
কভু বুঝি হবেনা দেখা
পদ্মা নদীর সে পাড়।
ঝর তুফানে করব আড়ি
পদ্মার বুক দেব পারি
স্বপ্ন আমার খুঁজতে থাকে
কেমনে যাব ওই পারতে।
চিন্তা কিসের নৌকা হবে
পদ্মা নদীর খেয়া
এবার যাব নৌকায় চরে
পদ্মার ঢেউ বাইয়া।
কত শত কথা মনে লইল
শান্ত মনে ভাব বুনিলো
থাকতো যদি পদ্মায় জাহাজ
দেখতাম নয়ন জুরাইয়া আজ।
এইতো গেলো
সেদিন হলো
নৌকার পালে
জাহাজ ভিরিলো
পাল উরা নৌকা
যায় না আর দেখা
শত জাহাজের ভীড়ে।
নৌকা নিয়া দুর্যোগেতে
কবর দিলাম পদ্মা পিঠে
শত মায়ের কোল করলি খালি
জাহাজ ডুবি যায় হালি হালি
কিসের রাগে পদ্মা হলি
কেনবা এত মানুষ খেলি?
আর দেবনা পদ্মা বলি
প্রতিজ্ঞা এবার করলাম চলি
আঁকতে হবে সেতুর টালি
করব মোরা পদ্মা ঝুলি।
সেদিনের সেই পদ্মা নদীর পাড়
উঠেছে গড়ে বহুমুখী সেতু তার
কত জল্পনা কত কল্পনা
শত বাঁধা ছিল তার
ঠায় দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতু
পদ্মা নদীর পাড়।
পদ্মাকে বলি দেখ পদ্মা
তোমার উপর কে,
পদ্মা বলে পদ্মার জলে
সুন্দরী আমার সে।
আমি পদ্মা ভাবিনি কখনো
আমার উপর ঠায়
দাড়িয়ে যাবে এত বড় সেতু
রমনীর রং মেলায়
শীতে কুয়াশায় রোদে ঝিকিমিকি
পদ্মা সেতুর বাঁকা আঁখি
ভোরের পাখি বারবার ডাকি
রংঙের মেলায় রংধনু আঁকি।
ও পদ্মা দেখেছো কভু
এত বড় মনোবল
নিজের দেশে নিজ অর্থে
করলাম তোমায় সচল।
কে করেছে এই সেতুটি
কার এত মনোবল
দেশের টাকায় দেশে করেছে
শেখ হাচিনার দল।
অন্ধকার কেটে আলোকিত হল
সোনার বাংলায় বহুমুখী পেল
স্বপ্নের সেতু সোনার সেতু
রেল লাইনও আছে
দেখবি কে কে দেখে যা তোরা
পদ্মা সেতুর মাঝে।
দেশের জন্যে গৌরব আর
বিদেশে হিংসার কাশি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালো বাসি।