পরের দিন সকালে আব্রাহা যুদ্ধের তরে প্রস্তুত হন,  
মক্কায় প্রবেশ করার উদ্দেশ্যে সেনাদলকে সাজান।
‘মাহমুদ’ নামে হাতি ছিল আবরাহার মগ্নচড়ে,
সেনারা, হাতিকে মক্কার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করে।  
মক্কার দিকে নেওয়ার চেষ্টা করলে হাতি বসে যায়,
বিশ্ব কর্তার অপার লীলা বুঝি মাতঙ্গ বুঝতে পায়।
হাতিকে উঠানোর জন্য সেনারা মারপিট শুরু করে,
শত আঘাতের পরও হাতি উঠতে অস্বীকার করে।
যখন সেনারা হাতিকে ইয়েমেনের দিকে ফিরায়,
তখন মাতঙ্গ ইয়েমেনের দিকে ছুটে নির্দ্বিধায়।
অনুরূপ যখন শ্যাম ও পূর্ব দিকে রওয়ানা করে,  
হাতি তখন মন আনন্দে শ্যাম দেশে যাত্রা করে।  
ষাট হাজার সৈন্য সহ, সঙ্গে হাতি কয়েক হাজার
ক্বাবাশরীফ ধংসে এগিয়ে যাচ্ছে আবরাহার অনুচর,  
যখন তারা মসজিদুল হারামের কাছাকাছি আসে,
ছোট্ট ছোট্ট পাখি আসে প্রতিপালকের নির্দেশে।
আবাবিল নামে পাখি আসে হাজারে হাজার,
প্রতিটি পাখি বহন করে তিনটি করে পাথর।  
আবাবিল বাহিত পাথর, নয় তো বড়-বিশাল,  
দেখতে যেন ঠিক,এক-একেটি মুশুরির ডাল।


মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম ( সিঙ্গাপুর প্রবাসী )


আগামীতে শেষ পর্ব