এখনও যদি তোমার সান্তনা না আসে তবে বলছি আমি শোন,  
আমার প্রকৃত রূপে অনেক পর্দা, সেথায় তোমাদের দৃষ্টিশক্তি সঙ্কীর্ণ।
আমি তোমাদের সমাবেশে পদার্পন করেছি মানবাকৃতির পর্দা পরি,
যাতে আমার মাধ্যমে তোমাদেরকে খোদা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারি।
মানব দৃষ্টি, রাখেনা শক্তি, দেখতে আমার হাকীকতের মহত্ত্ব।
তাদের বুদ্ধির দৌঁড়, দেখতে কেবল আমার বহ্যিক চমৎকারিত্ব।
এ দৃষ্টিভঙ্গিতেই দুনিয়াবাসী আমাকে মানব বলে, বুঝেছ এবার,
অতঃপর নয়ন ভরে দেখ তুমি, আমি কে? জিজ্ঞাসা করোনা আর।
আমার রূপ-রাজ্য চোখে দেখার অনুমতি আছে, নেই প্রশ্নের অবকাশ ,
সীমা অতিক্রম করোনা, মুসাফির দার্শনিক ভঙ্গিতে করিলেন প্রকাশ।
অধিকন্তু  আপনিতো এ বুনিয়াদি প্রদীপেও মানবীয় গুণের অতীত,
এ সব দৃষ্টির অলৌকিকতা নয়, আপনারই দৃশ্যমান দ্যূতির কেরামত।
আপনার বাহ্যিক আকৃতি, যেটাকে করেছেন স্থির আমার দৃষ্টির সীমান্ত,
তা আপনার হাকিকতের সৌন্দর্যের ইঙ্গিতবাহী, এটি নয়তো দৃষ্টি ভ্রান্ত।  
কাফেলাপতির কথাগুলির পরে, মুসাফির কয়, এক বাস্তব হাকিকত!
এটি বহু দুর্বোধ্য!! এ যেন এক মেঘের আড়ালে চন্দ্রিমা রাত!!!
অতঃপর তুমিই চিন্তা করে দেখ , যদি এ সম্ভাবনা হয় ভিত্তিহীন,
তবে প্রভুর মহত্ত্বের কাচারি হতে কেন এ ঘোষণার হল প্রয়োজন।
দৃষ্টি আপন পরিদর্শনে স্বাধীন থেকেও আমাকে মানুষই বুঝেছে,  
এখন তুমিই বল, এটি কোন আশঙ্কার দ্বার রুদ্ধ করা হয়েছে।
কথোপকথনের মূল উদ্দেশ্য তুমি বুঝতে পেরেছ, মনে হচ্ছে আমার,
মুসাফির বলে যেতে দাও এবার, সংহার টানছি সকল ধারাবাহিকতার।


আরশাদুল ক্বাদেরী (রহ.)’র জীবনী থেকে)


চলবে......
আগামীকাল_শেষ পর্ব