গাজিখালি, নেইকো তোমার সেই বারি স্ফীতি,
তাইতো আজকে সেসব শুধু শৈশবেরই স্মৃতি।
ঢাকা আর মানিকগঞ্জের মধ্যে তুমিই সীমারেখা,
মানিকগঞ্জ হতে ঢাকা যেতে মেলে তোমার দেখা।
দুকুল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে তোমার অথৈ জল,
পললে তোমার প্লাবিত হয়েছে ভূত্বক অবিরল।
এখন তোমার উপচে পরেনা দুকুল বেয়ে জল,
এখন আর তুমি বয়ে চলনা অবিরল কলকল।
আগের মত আর নেইকো তোমার সলিল টলটল,
তাইতো এখন ঝাঁপিয়ে পরেনা দুষ্টু ছেলের দল।
সারি সারি হরেক নৌকা বইত তোমার বুকে,
মাঝি-মাল্লারা ভাটিয়ালি গাইত মনের সুখে।
ঘটি লয়ে ঘাঁটে আসত কত সনাতনী প্রাণ,
তোমার জলে, করে অষ্টমীস্নান হত পুণ্যবান।
সময়ে সময়ে গর্জেছ তুমি উথাল জল তরঙ্গ,
বিকেল হলে যেতাম কুলে দিতে তোমায় সঙ্গ।
আষাঢ় মাসের ভরা জোয়ার বইত যখন প্লাবনে,
তোমার জলে সিক্ত হতাম আমরা অবগাহনে,
তোমার জন্যে কত মানুষ হয়েছে ভিটে হারা,
কিছু নাহি জানবে আজ দেখবে তোমায় যারা।
তোমার থাবায় হারিয়েছে ভিটে মোর পিতামহে,
তবু, তোমায় আমি করছি স্মরণ সটান সমীহে।
হয়ত একদিন তোমার নাম মুছে দিবে মানচিত্র,
তোমায় নিয়ে তাইতো আমার বিনীত এই ছত্র।
প্রিয় গাজিখালি, আজকে তুমি শুধুই শৈশব স্মৃতি,
তাইতো আজি সরি তোমায়, দিয়ে আমার প্রীতি।


মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী)