শুর্পনখা না মানে প্রবোধন অনেক অনুনয়ে,
রাম বলে, লক্ষনের সাথে আবদ্ধ হও পরিনয়ে।
লক্ষন যখন শুর্পনখাকে শাদিতে রাজি না হয়,
সীতার ভাগ্যাকাশে তখন হয় দুঃখের উদয়।  
দুঃখের খড়গ সিতার উপর নামে অকারন,
অগ্নিমূর্তি শুর্পনখা সীতাকে করে আক্রমন।
লক্ষণ ও কিন্তু শুর্পনখাকে  ছাড়ার পাত্র নয়,
শুর্পনখার নাক কেটে পাঠিয়ে দেয় লংকায়।
শুর্পনখা তখন রামকে শায়েস্তা করার জন্য,  
ভাই 'খর' কে পাঠায়, সঙ্গে ১২০০০ সৈন্য।  
শক্তিশালি দুই ভাই রাম আর লক্ষনের হাতে,  
'খর' আর ১২০০০ সৈন্যের কল্লা হল ফতে।  
অবশেষে শুর্পনখা নতুন এক কুট চাল চালে,  
ভাই রাবনের কাছে সীতার রূপের কথা বলে।
লংকার রাজা বিশ্রবা মুনির তনয় রাবন,
সীতার রূপের কথা শুনে বইছে মনে শ্রাবণ।
রাবন ছিল অসাধারণ বুদ্ধিমান এক বীর,  
ভেবে চিন্তে কিছুক্ষণ রণকৌশল করলেন স্থির।
কৌশল হিসেবে তিনি বললেন ভাই মারীচকে ,
হরিণে বেশে ভুলিয়ে দূরে আনবে রাম-লক্ষনকে।    
হরিণের বেশে রাম লক্ষনকে ভুলিয়ে নিবে দুরে,  
সেই সুযোগে সীতাকে আমি নিব হরণ করে।


মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী)


চলবে (আগামীকাল পর্ব-০৩)