মারীচ  কিন্তু এত বোকা নয়, ছিল  যথেষ্ট ধীমান,
বলে, এসব কিছুর দরকার নেই শোন ভাই রাবন।
মারীচের কথা না শুনে,তাকে  হরিণের বেশে পাঠায়
রাবন নিজে যায় ভিক্ষুকের বেশে রামের এলাকায়।  
হরিণের প্রতি পূর্বে থেকেই সীতার ছিল দুর্বলতা,
ছদ্মবেশী মায়া হরিণ দেখে এটাই চেয়ে বসল সীতা।
ভাই লক্ষনকে রেখে রাম, সীতার পাহারায়,
সীতার পছন্দের মায়া হরিণ শিকার করতে যায়।
হরিন বেশী মারীচ মারা যায় রামের ছোড়া তীরে,
মারা যাবার আগে 'হা লক্ষন' বলে চিৎকার করে।
এই চিৎকারের শব্দ শুনে লক্ষণকে বলে সীতা,
তারাতারি যাও রামকে গিয়ে কর সহযোগিতা।
সীতাকে অরক্ষিত রেখে লক্ষণ যেতে নাহি চায়,  
সীতার বারবার অনুরোধের পর লক্ষণ রাজি হয়।
তবে যাবার বেলায় লক্ষণ সিতাকে সতর্ক করে।
এইযে 'লক্ষনরেখা' দিলাম, যাইওনা এর বাইরে।
এই সুযোগে রাবন এসে ভিক্ষার ছলনা করে,  
রাবন ভিক্ষা প্রার্থনা করে এসে সীতার কুটিরে।
সীতা তখন লক্ষন রেখার বাইরে নাহি  আসতে চায়,
তখন ছদ্মবেশী ভিক্ষুক রাবন গভীর ক্রোধ দেখায়।
বাধ্য হয়ে সীতা যখন লক্ষন রেখার বাইরে পা দেয়,
রাবন তখন সিতাকে নিয়ে লঙ্কায় রওয়ানা দেয়।
পথিমধ্যে রামের বাবা দশরথের বন্ধু গরুরের তনয়,  
জটায়ু নামক বিশাল পাখি সীতা হরণে বাধা দেয়।
তবে যুদ্ধে হেরে গিয়ে সে আঘাতপ্রাপ্ত হবার ফলে,  
সুযোগ বুঝে রাবন সীতাকে নিয়ে লঙ্কায় যায় চলে।  


মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী)


চলবে (আগামীকাল শেষ পর্ব)