সিতাকে উদ্ধার করতে রাম, লক্ষণ , হনুমান ,
আরও বিশাল বাহিনী নিয়ে লংকা করে আক্রমণ।
লঙ্কাকে ধ্বংস করে তারা সিতাকে করে উদ্ধার,  
মহেশ্বরের লীলা এখানেও বুঝি শুরু হল এবার।
অযোধ্যা রাজ্যের প্রজারা সীতাকে করতে অবলা,
সীতার গলায় পরিয়ে দেয় অসতীত্বের মালা।
সীতার প্রতি কেমন করে বিধি হইল বাম,
সবার সাথে সীতাকে অবিশ্বাস করে রাম।
সীতার কলঙ্কে ছিল তুলসীর ভূমিকা উল্লেখ্য,
রামের কাছে দিয়েছিল তুলসী মিথ্যা সাক্ষ্য।
বিধাতার কাছে সীতা দেবী করে প্রার্থনা,
মিথ্যা কলঙ্কের জ্বালা বিধি আরতো সহেনা।
এই গাঁজনার বিচার বিধি, কইরো তুমি তার,
সারা জীবন গ্লানি পায় যেন ব্রহ্মাণ্ডের উপর।
তৎক্ষণাৎ সীতার আর্জি মহেশ্বর করে স্বীকৃতিদান।
এত গুনের পরেও তুলশী, ভূ’তে আজো হয় অপমান।  
সীতার জন্য রাম করে পরীক্ষার আয়োজন,  
অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে সতীত্ব করতে হবে প্রমাণ।
সতীত্ব প্রমাণ করতে সীতা, শিখার ভিতর যায়,
অগ্নিদেবের নির্দেশে অগ্নি সীতাকে নাহি ছুঁয়।  
অগ্নিপরীক্ষায় সীতার সতীত্ব প্রমাণ হয়ে যায়,
খাঁটি সোনা সীতা এবার পতি রামের ঘরে যায়।
সীতার চরিত্র নিয়ে পুনঃ প্রজাদের নিন্দা শুরু হলে,  
দুঃখ ও মান-অভিমানে সীতা পাতালে যায় চলে।


মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী)