এমনই এক শরতে তোমাকে জেনেছিলাম
গ্রীষ্মের প্রথম বৃষ্টির মত, সেখানে রোশনাই ছিল,
ছিল আবহ সঙ্গীতের উদাসি সানাই, অথচ আকাশের
ও প্রান্ত থেকে এ প্রান্তের ব্যবধান কতটা হয় বোঝোনি
আজও! দ্যাখো, স্থির হয়ে আছে শুভ্র অথচ কত না রঙিন


কাশফুলের সারি! আগন্তুক বাতাসের স্নিগ্ধ স্পর্শেও
দ্যাখো নির্বিকার অবিচল। হে অনন্ত বৃক্ষ, দ্যাখো,
মেঘেরাও কাশের সাথে মিলিয়েছে রং, সেখানে
বৃষ্টি নেই বজ্র নেই, নেই বলাকার মত ডানা মেলা;
ব্যথারাও সুখ দেয় বলে বিলাসিতায় জড়িয়ে থাকি


তোমার আঁচল। কত সহজে বৃক্ষ থেকে বৃক্ষান্তরে
উড়ে যায় পাখি, অথচ তোমার শিকড় কত গভীরে
প্রোথিত! আমি বিস্মিত হই, বিগলিত হই, সকলের
দুর্বোধ্যতার মাঝে আমি একা শিখন্ডী, বিমোহিত
হই বিরল মৃত্তিকার মত ...