জীবনটা মনে হয় ছোট্ট এক ঘর,
এক দ্বারে ঢোকা, অদূরে বাহির-দ্বার;
সাত- সাতটি বছর চোখের নিমেষে
হয়ে গেল পার বিষাদে হরিষে মিশে;
গঙ্গার বুকে বয়ে গেল কত যে জল!
প্রিয়া আজ বধু মোর, আছে হাসি-খুশি;
দিয়াকেও পারি না ভুলতে এক পল,
তার এ হালের জন্যে নিজেকেই দুষি।


কি জানি কি ভাবে গড়েছে আমায় প্রভু,
কারো অধীনতা মানতে পারি না কভু,
চাকরি নয় মোটে তৃপ্তিজনক কাজ,
চাকরি ছেড়ে তাই ব্যবসা করি আজ;
দিন যায়,সূর্য ডোবে, আসে কত রাত,
অন্তরে দিয়া আজও করে উৎপাত;
বাহু-ডোরে বাঁধা প্রিয়া করে অনুযোগ,
'আমার প্রতি তোমার নেই মনোযোগ।'
                    *                
সেদিন এসেছি বলে দিয়ার বাবাকে
'মনোবিদের কাছে নিয়ে যাও দিয়াকে'
ভাল এক মনোবিদের দিয়ে ঠিকানা
পাঁচশোর নোটও দিয়েছি চারখানা,


'মনোবিদ পাগলের ডাক্তার আসলে
দিয়াকে দেখাবে কেন বলুন তাহলে?
মনোবিদ বানাতে পারে পাগল ওকে।'
বৌদিকে একথা বলেছে পাড়ার লোকে।
অফিসে-বাড়িতে ভীষণ কাজের চাপ,
চেয়েছি দিয়ার কাছে মনে মনে মাফ।
পারিনি কদিন যেতে ওদের বাড়িতে,
এসেছিল ওঝা নাকি ভূতটা তাড়াতে!
সর্ষের ধোঁয়া ও পিঠে ঝাড়ুর আঘাত,
সইতে না পেরে নাকি ভূত কুপোকাত!


আবার নতুন উপসর্গ দিল দেখা,
অন্ধকারে বসে বসে হাসে একা একা,
আচমকা কখনো বা কেঁদে ওঠে জোরে।
ছুটে গেলাম সেদিন খুব কাক-ভোরে;
রাজি হলো দিয়ার মা বোঝানোর ফলে,
ভর্তি করালাম মেন্টাল হাসপাতালে।
পুরো সুস্থ হয়ে ফিরলো ছ মাস পরে,
প্রিয়া যে বধু হয়ে এসেছে মোর ঘরে।


এক মিশনে দিয়া স্বেচ্ছায় ভর্তি হলো,
ডাক্তার হয়েছে আজ, জানি না কি পেল?
দীক্ষা নিয়ে সে যে আজ মস্ত সন্ন্যাসিনী,
সিস্টার অমলা, জনসেবায় ব্রতিনী।
                         (সমাপ্ত)
( যাঁরা দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে ধৈর্য্য ধরে পড়ে ও মন্তব্য দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেককেই জানাই অকৃত্রিম শুভেচ্ছা,ভালবাসা, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা)


ফাহমিদা ১৬/১১/২০১৩
অবুঝ প্রেম শুধুই কাঁদায় ... চাইলেও তাকে ঘিরে থাকা যায় না ... প্রথম প্রেমই যে সত্য প্রেম, কথাটা সত্য না ...  প্রেম যে কতটা কষ্টের বুঝি যখন তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম ... কিন্তু জীবনে বেঁচে আছি ... ইচ্ছা করে না।। বেঁচে থাকার জন্য বেঁচে আছি .........।। থাকবো আমৃত্যু পর্যন্ত ,
ভাই 'মোহ'র প্রত্যেকটা পর্ব ভালো লাগলো,
...... আর শেষটা আবেগে কাঁদালো ............।
উত্তর দিন