জীবন-নদী এগিয়ে চলে নানান বাধা ঠেলে
নতুন নতুন ঢেউ এসে তার বুকের উপর খেলে;
প্রবল জোয়ার বুকের মাঝে আজ এসেছে বুঝি
কোন্ সে চাঁদের প্রবল টানে তাকেই এখন খুঁজি।
তীরে এসে ডুববে কি নাও? ভরবে কি মন দুখে ?
পিয়ার চোখে অভয় দেখে ভরসা জাগে বুকে।


ঘর থেকে যে যায় না বোঝা কে আছে ঐ পারে
ঠক ঠক সেই শব্দ হঠাৎ বন্ধ হল  দ্বারে
ভাবছি যখন এবার বুঝি দূর হল সব বাধা
কলিং বেলের আওয়াজ শুনে বনতে হল গাধা
ঠোঁটের উপর আঙুল তুলে বললো পিয়া চুপ থাকো
শিরশিরানি শির-দা্ঁড়াতে আর যে থাকা যায় নাকো।


গলা ছেড়ে বললো পিয়া মেঝের উপর শুয়ে
"যাচ্ছি আমি একটু পরে শাড়িটা বদলিয়ে"
আবার পিয়া আমায় টেনে নিল যে তার বুকে
ভাবছি মনে,এবার তবে গেল বাধা চুকে;
শেওলা-শায়া হাতের ঢেউয়ে যেই না গেল সরে
অজানা এক ফল্গু নদী, দেখি দু চোখ ভরে।


গোপন পাহাড় বেয়ে নামে অবাধ ঝর্ণা ধারা
সিনান করে অঙ্গ আমার হর্ষে বা্ঁধন- হারা
স্বর্গীয় এক পুলক জাগে সারা শরীর জুড়ে
পারিজাতের গন্ধ আসে আকাশ-বাতাস ফুঁড়ে
মানব-জনম সফল হলো এই ধরণীর বুকে
অবশ হল আবেগ বুঝি অপরূপ এক সুখে।
                               (চলবে)
(আমার মনে হয়, মাঝে মাঝে ছন্দপতন ঘটলেও দুটি নারী-পুরুষের মধ্যে তিলে তিলে  গড়ে ওঠা প্রেমের মধ্যে একটা অদৃশ্য ছন্দ থাকে,তাই এই প্রেমকাহিনী-টাকে ছন্দময় কবিতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।আপনাদের ভাল লাগলেই এ প্রয়াস সার্থক হবে।যাঁরা আগের পর্বগুলো পড়েননি তাঁরা যদি সেগুলো পড়ে নেন তাহলে ঘটনা-পরম্পরা বুঝতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।)