পদের লালসা? হায় রে আকাশ! এই
কি চেনা চলন দেখে? দেখে নিতে পার-
আজও আছে অমলিন পায়ের ছাপ-
গুণীরা প্রণম্য,  চোরকে করিনা মাপ।
ছুঁড়েছি আপোসি টোপ ঘৃণাভরে কত
অনন্ত আঁস্তাকুড়ে, চাটুকার যাহারা
চাটুকার থাক; আমিতো দেখেছি রূপ,
অপরাধ সয়ে কিভাবে থাকব চুপ?


মুখ আর মুখোশ একই হয়ে গেলে
ডাইনি পেয়ে যায় রূপসির কদর
আমিও ভুলেছি নকল হাসিতে কত!
ভরেছি তার কোল, তারিফে শত শত;
আমিও পেয়েছি মালা, তা বলে অন্ধতা
ধার নেব ধৃতরাষ্ট্র হতে? সে বিদ্যায়
নই পারদর্শী; নোয়াই না মাথাখানি
তাদের কাছে, যারা অন্যায় জ্ঞানে জ্ঞানী।


আজ কেন নিন্দা মুখে? সমব্যথী জানে;
ব্যক্তিবিদ্বেষ? হায়! বোঝো এ কথার মানে?
সূর্য কভু বিদ্বেষী হয় গ্রহের প্রতি!
ধার করা গরবে হয় কি তার ক্ষতি?
চোরের সাজা চেয়ে গৃহস্থ দেখি হায়!
একপেশে বিচারে অপরাধী বনে যায়।


কেউ কেউ চুরি করে বিতাড়িত হয়-
কেউ বা হয় পুরস্কৃত, মায়াকান্নায়;
ঢাকা পড়ে আসল রূপ, মিথ্যের জয়।
সেই বোঝে জ্বালা যার চুরি হয়ে যায়-
শ্রমলব্ধ সে ধন, বিলিয়ে নিজনামে
বিনিময় রেখেছে ভরে  নির্লজ্জ খামে।


অপযুক্তির আড়ালে চৌর্যবৃত্তি ঢাকে-
মাছ কি কখনো ঢেকে রাখা যায় শাকে?
অর্ধসত্য মিথ্যের চেয়েও ভয়ংকর;
অন্যায় সহা অন্যায়সম বলে মানি,
চোরের দেওয়া মানপত্র পায়ে দলি-
যাহা সত্য তাহা চিৎকার করে বলি।
তবু হায়! বিজ্ঞাপিত হয় এক দিক
অন্য দিক থাকে স্বেচ্ছাকৃত  অন্ধকারে।
কান পেতে শোন-  কাঠগড়ায় দাঁড়ানো
বিবেকের চিৎকার, ফরিয়াদীর আসল
কদর্য রূপ জানাও  নির্ভিক বিজ্ঞাপনে;
যোগ্যতা মোছে কি কখনো তৈলমর্দনে?