মাইক্রোফোনে বাজছে যে গান লজ্জা ছেড়ে পিছে
'চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায় চুনরি কে নিচে'।
তর সয় না হই উতলা উপোসী বাঘ যেমন
নব যৌবন বাঁধ মানে না দেখবে সে দেশ কেমন।
এই বিশ্বের কোমলতম স্বর্গীয় সেই দেশে
নিখাদ প্রেমের টিকিট লাগে বৈধ প্র-বেশে।


মেঝের উপর শোয় যে পিয়া চোখে আমন্ত্রণ
সারা দেহে আগুন জ্বলে পাগল হয় যে মন
বুকে আমায় টেনে পিয়া দেয় যে গভীর চুমা
"সব কিছু আজ দেব তোকে যা আছে মোর জমা।
অধর-সুধা পান করে যে তৃপ্ত হল মন
আরও কিছু পেতে এ তন হয় যে উচাটন।
চাঁদটা যেমন হালকা মেঘে একটু থাকে ঢাকা
পিয়ার অঙ্গ তেমন লাগে,বাকি শুধুই চাঁখা।


এমন সময় শব্দ ওঠে দরজায় ঠক ঠক
পিয়া ওঠে ধড়-ফড়িয়ে বুকটা যে ধক ধক
দুটি মনে শঙ্কা জাগে, ভঙ্গ বুঝি আশা
তাকাই শুধু এ ওর পানে পাই না খুঁজে ভাষা।
                               (চলবে)


(আমার মনে হয়, মাঝে মাঝে ছন্দপতন ঘটলেও দুটি নারী-পুরুষের মধ্যে তিলে তিলে  গড়ে ওঠা প্রেমের মধ্যে একটা অদৃশ্য ছন্দ থাকে,তাই এই প্রেমকাহিনী-টাকে ছন্দময় কবিতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।আপনাদের ভাল লাগলেই এ প্রয়াস সার্থক হবে।যাঁরা আগের পর্বগুলো পড়েননি তাঁরা যদি সেগুলো পড়ে নেন তাহলে ঘটনা-পরম্পরা বুঝতে সুবিধা হবে। ধন্যবাদ।)