("ডানায় যে বড় ব্যথা" ও "ডানাটা ভেঙেই গেল"-এর পর)


অনেক ভেবে শুঁয়োরানি জয়াকে ধরলো ফোনে,
রাখবে কথা বান্ধবী তার ভাবলো মনে মনে ;
বললে জয়া,"ভাবিসনা তুই যাচ্ছি আমি এখনই
কেমন আছে খুকু মণি জানিয়ে দেব তখনই"
ফাইল খুলে শুঁয়োরানি মন লাগালো কাজে
এমন সময় মূঠো ফোনের রিংটা ওঠে বেজে
রিসিভ করেই শুনতে পেল জয়ার কাঁপা গলা,
-"তুকতাক কেউ করেছে ওকে,যায় না কিছুই বলা"
-"ঐ টুকু মেয়ের ঊপর তুকতাক করতে যাবে কে?"
-"বাইরে আপন সেজে ভিতরে ভিতরে হিংসে করে যে,
কাল রাতে যা করলি, তা তো আভিজাত্যের প্রদর্শন,
হিরের সেটটাও দেখালি, আবার এলাহি সব আয়োজন"
-"আমি বিশ্বাস করিনা তুকতাকে,ওসব সত্যি না হয় যেন"
-"কিন্তু ছটফটে ঐ মেয়েটা রাতারাতি বদলে গেল কেন?"


শুঁয়োরানি-শুঁয়োরাজা ফিরলো বাড়িতে সন্ধ্যায়
হাঁটুতে মুখ গুঁজে খুকু বসে আছে খাটের কোণটায়
ড্যাডি কাছে যেতে আতঙ্কে খুকু আরও দূরে সরে বসে
ড্যাডি ফিরে এলে খুশি হত খুব, এমনতো করেনা সে!
মেয়েকে দেখে শুঁয়োরানির বুকে ঠেলে ওঠে যত দুখ,
চোখের কোণে পড়েছে কালি, পাংশু হয়েছে মুখ।
"জয়া বলেছে তান্ত্রিক ডাকতে "বললো শুঁয়োরানি।
-"ওসব ডেকো তুমি ,আমি সাইকোলজিস্ট মানি"
বলেই তার বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লো শুঁয়োরাজা।
কার পাপে যে ছোট্ট মেয়ে, ভুগছে এমন সাজা?


"বলনা খুকু কি হয়েছে? রেখেছি তো তোকে সুখে"
চোখ বড় করে তাকায় খুকু ,বলে না কিছুই মুখে।
কালুর মাকে ডেকে বলে,রাতের বেলা এই ঘরে তো থাকিস
কিছু কি কাল ঘটেছিল?দোহাই তোকে,বল না যা যা জানিস।"
-"দাদাবাবুর ফোনটা নিয়ে খুকুমণি  খেলছিল কাল রাতে
তোমরা তখন নাচে গানে মত্ত ছিলে, বন্ধুদেরই সাথে"
                                           (চলবে)