মাঝে মাঝে আমাকে অদৃশ্য কোন শক্তি
আশ্চর্য্য উপায়ে অস্বস্তি থেকে বাঁচায়,
যদিও দেব-দ্বিজে তেমন নেই ভক্তি
তবু বিশ্বাস করি আমাকে কেউ নাচায়;
অদৃশ্য সুতো হাতে বসে আছে অলক্ষ্যে
স্বরচিত নাটকে করায় অভিনয়,
কখনো করে বিপন্ন কখনো বা রক্ষে,
কখনো ঘটে জয়, কখনো পরাজয়।


মায়ের পদধ্বনি শুনে সরালি হাত
অংক কষতে শুরু করলি মন দিয়ে
বাইরে ঝড়-বৃষ্টি, ঘনিয়ে আসে রাত
বৌদি ঢুকলেন ঘরে চা-বিস্কুট নিয়ে
তাঁর মনে নেই কোন ঘাত-প্রতিঘাত
বললেন, আজ রাতে থেকে যাও ভাই
ঝড়ের তাণ্ডব চলছে, থামবে না বুঝি,
তোর হৃদয়ে যেন বাজলো সানাই
আমি আশঙ্কিত হয়ে অজুহাত খুঁজি।
শুনলো না কোন কথা দাদা-বৌদি কেউ;
থেকে যেতে হল তোর বাড়িতে সে রাতে
তোর বুকে বুঝি উঠেছে প্রেমের ঢেঊ
পরিবেশন করে খাওয়ালি নিজ-হাতে;
একটাই ঘর তোদের বারান্দা দুটি
একটায় তোর বাবা-মা অন্যটায় তুই
ঘরে আমি একা, কে যে আসে গুটি গুটি
ভেজানো দরজা ঠেলে? চোখ বুজে শুই।
                   ( অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত)
                          (চলবে)