কেমন অনায়াস বিরক্তিতে বলেছিলে,
'ছেড়ে দাও আমায়, আমি বেশিক্ষণ সইতে পারি না
আলোর আলিঙ্গন।
মুহূর্তেই আমার দু বাহুর শিরায় শিরায় অন্ধকারের
স্রোত নেমে এসেছিল বুকের পাহাড় থেকে।


আবারও চিৎকার করে উঠেছিলে তুমি,
বলেছিলে, আমি সইতে পারি না নিঃসীম অন্ধকার,
মনে হয় যেন তলিয়ে যাচ্ছি সাগরের
দুঃসহ শীতলতায়।


তোমার সে আর্ত-চিৎকারে যেন বিদ্যুৎ-স্পৃষ্ট হয়েছিল
দুবাহু, সরে গিয়েছিল দুপাশে স্বতঃস্ফূর্ততায়,


আচমকা আলিঙ্গনমুক্ত হয়ে আরও জোরালো চিৎকারে
তুমি বলে উঠেছিলে, "আমি তো বলিনি তোমাকে
বাহুমুক্ত করে দিতে,আলো নয় অন্ধকার নয়, শীতল
অন্ধকারে আলোর উষ্ণতা দিয়ে বাঁধো আমায়
তোমার আলিঙ্গনে।"


বুঝিনি আজও আমি তোমাকে, অন্ধকারের মতই
ভালবেসে গেছি কেবল,হৃৎপিণ্ড থেমে গিয়েছে মাঝে মাঝে,
তবুও হৃদয় থামেনি কখনও, তুমি ইচ্ছে-ডানায় কখনো
প্রদীপ জ্বেলেছো, কখনো বা নিভিয়েছো ফুৎকারে...


তবু আমার এই অন্ধকার কুঠুরিতে ---
বাতাসের মতো অভিমান আছে শুধু,
আর্তনাদ নেই মেঘের মতো,
ফল্গু নদীর মতো অশ্রু আছে শুধু, কান্না নেই
আকাশের মতো।
*  *
{ আগামী কাল ২০০তম, আগমনের প্রত্যাশা রইলো}}