তুমি কি কখনো প্রত্যক্ষ করেছো প্রসব-যন্ত্রণা?
দেখেছো কি নির্জন দুপুরে নব মল্লিকার গভীর
অন্তঃপুর থেকে প্রস্ফুটনকালের কাতর শিহরণ?
পথের তাপ-ক্লিষ্ট ধূলিকণা ভাবলেশহীন চোখে
দেখে যায় আগুন-আকাশে মেঘেদের ওড়াওড়ি,
অন্তরে আপন বাসনা, শরীরে ক্লেশহীন তৃপ্ততা,
তাপ-সহা মেঘের ইতিহাস পিষ্ট হয় পায়ে পায়ে,
পৃথিবীর উঠোন জুড়ে উচ্ছ্বসিত বনময়ূরের নাচ,
ব্রাত্য ভালবাসা উপবিষ্ট তখন নির্জন পুকুর-ঘাটে,
গ্রাম্য রমণীর মতো বেমানান এই মাংসল উৎসবে।


চোখে পড়ে শিশুর হাসি,তৃপ্ত হই মল্লিকা-সৌরভে,
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা শুষে নিতে চাই রোমকূপে,
কে নেবে খোঁজ নির্জন পুকুর-ঘাটের এই ব্যস্ততায়?
'ভিতর' নামে কোন এক প্রাণী হয়তো বা ছিল একদিন,
এখন শুধুই বাইরের দাপাদাপি,ভিতরটা আজ জাদুঘরে,
পাথরের আঘাত মৌচাকে,জিভে কিছুটা বাকিটা মাটিতে,


চলছে তবুও ভোগী পৃথিবীর নিরলস সাধনা,
দু মুঠো শর্করায় এক নদী জলে মিষ্টতা আনা।