জিরিয়ে নিও মাঝি, একটু জিরিয়ে নিও
তাই বলে
হাল ছেড়ো না আবার
সূর্যিমামার সাথে খেয়া অথৈ নদীতে পাড়ি
বৈঠা জলের মিলে বুঝি ওপার যাইতে নারি
বেসুরে গলায় ধরেছ তখন জীবন মোহন গান
আস্তে আস্তে জল কাটিয়া খেয়া বিরাজমান
পুব দিগন্তে নাই তো আলো কাশফুলেরই মেলা
দেখে শুনে যাইও মাঝি যায় যাবে এ বেলা
এ আর কিবা আসবে ঝড় হইলে ললাট মন্দ
ঝড় ঝাপটা, উত্তাল ঢেউয়ে নাচে জীবনের ছন্দ
রবি দেখে খেয়া নিও মাঝি সঠিক দিকপানে
চারিদিকে ফুটেছে আলো অল্প সূর্যস্নানে
ঘুনকাঠে তৈরী খেয়া, নাই যে বসার ছই
অকূল নদীতে একলা আমি বাকি সবাই কই
ছলাৎ ছলাৎ ছন্দে জল খেলছে অবিরত
স্বপ্নখেয়া পৌছোবে তীরে পেরিয়ে বাধা সত্ত্ব
মাঝে মাঝে দিক ভুলিয়ে উঠছে তবে কেপে
সুদূর দ্বীপের স্বাধ নিতে জল ধাক্কা তোমায় দেবে
ভঙ্গুর বৈঠা, ঘুন ধরা কাঠ, নাই যে তরীর ঠিক
জল ঝাপটা তবে উল্টাতে নারি কেবলাটা যে দিক
বিশাল গগন মাঝে ভেসে একলা ছোট্ট তরী
স্বপ্নজয়ে হব জয়ী ; আমি বাধ কান্ডারী
না থাকে বল তবুও তরী পৌছোবে ঐ দ্বীপে
মেহনত তব জ্বালানী হয়ে স্বপ্ন জুগিয়ে দিবে
উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে তরী পাল তুলবে আবার
নতুন দ্বীপে জাগ্রত হবে মানবসভ্যতার ।