আমিও এক সময় ভবঘুরদের প্রধান ছিলেম
  নিয়ম করে যেতাম বেশ্যাপাড়ায়,  
    কাটিয়ে দিতাম সারা রাত গণিকাদের
      বিছানায় নিজেকে উন্মুক্ত করে।
তাদের উন্মাদ যৌবনের স্রোতে ভাসিয়ে
  দিতাম নিজেকে, হারিয়ে ফেলতাম!
    পৃথিবীকে ভুলে গিয়ে চরিত্রকে বলি
       দিয়ে হয়ে উঠতাম বড্ড রসিক।
এখন আমার মুখে লম্বা দাড়ি!
  রেশমি চুলে পাক ধরেছে,
    বার্ধক্যের ভারে চামড়া ঢিলে হয়ে গেছে।
সাদা পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে
জনতার সম্মুখে স্নিগ্ধ শুদ্ধ
  কণ্ঠস্বরে উঁচু আওয়াজে বলে বেড়ায়,
    বেশ্যাপাড়ায় কেউ ভুলেও যাবেন না!
      আপনাদের ছেলেদেরকে সচেতন করুন।
         ওরা তো মানুষই নয় ওরা নর্তকী!


এই সুশীল সমাজে বেশ্যার কোন স্থান হবে না, আমার কবি প্রাণটা নেচে ওঠে  রক্ত চোখে তাকিয়ে বলে এই বেশ্যা বানানো-র অবদান টা কার ছিল!?
...........…....……………….......…...…...........…....
রচনা = ১২ই ভাদ্র  ১৪৩০ বঙ্গাব্দ '
কক্সবাজার উখিয়া।