বেহুলা র খোঁপায় শিউলি,হাতে রাঙা চুরি,
ধপধপে সাদা শাড়ী গায়ে জরিয়ে।
আনমনা মনে আবির মাখা রঙে
নিজেকে রাঙিয়ে, ফাগু নে ভরা বৈ কালে
গোধূলি লগ্নে,রক্ত রাঙা রশ্মি গগন যখন সজ্জিত
নীলচে নিলি মা'র নিচে নিস্তব্ধ শহরে
উন্মুক্ত কেশে দাঁড়িয়ে আছে
কানিতা হাজারো ফুলের সৌরভ নিয়ে।
তোমার ওই কোমল হাতে আলতো স্পর্শ পেলে
নিজেকে পুনরুদ্ভব করিব,
সুজুগ পেলে নাগ রাজ্য থেকে ফিরে এসে
তোমার চর নে পদসঞ্চারণের ঝংকৃত
হয়ে শিঞ্জিনী বাজাবো!
তোমার দৃষ্টির এক পলক চাহনি এ যেন ভরা
নিশীথিনী র মাঝে ঝলঝলে পূর্ণিমা নেমে আসে।
তোমার মুখের একটু হাসি যেন জগতের সেরা
ঝংকার, নিসর্গ প্রবাহিণী তটিনী-র হিল্লোল।
তুমি যখন চলে যাও বসন্ত মুখ গুমরে কাঁদে,
চন্দ্রমা কিরণ দিতে ভুলে যায়,
আকাশ তার সৌন্দর্য হারায় পর্বত মালা ঝলসে যায়।
চতুর্দিকে বাজছে যুদ্ধের দামামা
এমন্তা অব্ধি হানাদার বাহিনী র সম্মুখে দাঁড়িয়ে,
কপাল চেপে, তোমার ঠোঁটে গভীর চুম্বনে
ক্ষান্ত করাবো যুদ্ধ!
জন্ম দিব কোলাহল মুক্ত প্রেমময় ধরণী,
আকাশে বাতাসে রণিবে চুম্বনের
ঘ্রাণেন্দ্রিয় তৃপ্তিসাধন।
হ্যা কাণিতা তোমাতেই খুঁজে পাই
সেই উৎস্বর্গীয়  রমণীর তৃপ্তির ঢেঁকুর।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
রচনা ;২১/৩/২০২২
আশুগঞ্জ  ব্রাহ্মণবাড়িয়া,
উৎসর্গ,, প্রিয় কবি বন্ধু কানিতা কে,,,