প্রথম জন্মটা খুব নিস্তব্ধ ছিলো,
নিখিল ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির
টুঙ্গীপাড়ার একটি ছোট্ট নীড়ে ,
আমি একা সাথে শুধু তুমি ;
নিস্তব্ধ নিস্তেজ তুমি আধমরা!
আমি চিৎকার করে কাঁদলাম
কিন্তু তুমি ঠাঁই দিলে না
বললে,  এ তোর জন্ম হতে পারে না,
হ্যাঁ ! আমি দশবছর নিরবে কেঁদেছি!!
অবশেষে আমি তোমার ভর্ৎসনার সূত্র খোঁজে পেলাম ;
তখনই মস্তিষ্কের না ভুলা যন্ত্রে নাড়া দিলো জন্মান্তরের দেনা -পাওনা ;
আমি শুধু কেন আমাতেই আছি
আমি তো কারো একার নই।
আমি তোমার নিস্তেজ দেহে
সতেজতার প্রাণ খুঁজতে বেরুলাম ;
হ্যা,আমি হারিয়ে গেলাম
কোটি জনতার ভিড়ে ;
তিল-তিল করে
বড় হতে থাকি  তোমার বক্ষপুটে,
তুমি আমায় বায়ু দাও, অন্ন দাও
আমি শ্বাস নেই বেঁচে থাকি ...
অবশেষে আমি আবার জন্মনিলাম
হ্যাঁ, আমি জন্মালাম
সাত কোটি মানুষের উদরে ;
সাত কোটি এক আমিতে তুমি নতুন মা হলে,
তুমি হাঁসলে
তুমি বুক ভরে কান্নাভেজা চোখে হাসলে
মোড়ানো চুল এলোমেলো বাতাসে উড়িয়ে
সুখের সাগরে ভাসলে
আর বললে আমি বিশ্বজননী
আমি বিশ্ব মাতা; বঙ্গমাতা।
তারপর একের পর এক আমি জন্ম নিতে থাকি...


৬০-৭০-৮০ করে
আজ তুমি আমায় ৯৭তম জন্ম দিলে,
আমি এখন ষোল কোটি জনতার কুলে,
তুমি তৃপ্তির ডেকুর তুলে বললে ,
"আমার প্রসবের নেইকো শেষ,
আমি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। "