যে হাসি কখনোই ফুরোয় না,
রোদের ঝিকিমিকি আলোয় সর্বদাই চোখের সামনে হাস্যপ্রোজ্জ্বল,
সেই হাসি দেখার পর
সেই তোমাকে দেখার পর,
আমার এবরো থেবরো ভাবনাগুলো
হৃদয়ের কম্পমান সব চাওয়াগুলো
গাঙচিল বেশে উড়তে থাকে;
যখন যেদিকে মন চায়
যখন যেদিকে চোখ যায়
হাওয়ায় হাওয়ায় লতায়-পাতায়।
কখনো তোমারই চলার পথে
বাউলের একতারা নিয়ে গাইতে থাকে
অথবা তপ্তধূলিতে নিজেকে মিশিয়ে তোমার গন্ধ  খুঁজে,
আবার কখনো ব্রহ্মপুত্রের জলে গা ভাসিয়ে তোমার স্পর্শ খুঁজে।
বৈশাখের কাঠফাঁটা রোদের মতোই ফেটে চৌচির এই পিপাসার্ত হৃদয় খানা,
দাবদাহে পোড়ানো ক্ষুধার্ত এই মন এই প্রাণ,
পাতাঝরা চৈত্রের মতোই চিৎকার
করতে বলতে চায়;
তুমি দিবে কি চৈত্রের খরার বুকে
একফোঁটা তৃপ্তির জল?
যা আমায় এনে দিবে শতজনমের প্রশান্তি,
যা দূর করে দিবে আমার সকল বাউন্ডুলে পনা,
সবকিছু মুছে নিজের অন্তরালে এঁকে দিবে ভালবাসার আলপনা।