খাদ্য কী? অখাদ্যই বা কী?
সাধারণ জ্ঞানে সে তো জানি, চিনতেও পারি
ভক্ষণ করি ওয়াক্তে ওয়াক্তে
এই যেমন- ভাত, মাছ, মাংস
আল্লাহর জমিনে ছড়ানো ছিটানো আরো কত শত পদের বস্তু!
ফল! ফলন!
সব মালগাড়ি হয়ে  
খাদ্যনালীর পথ পাড়ি দিয়ে ভাটিতে ছুটে চলে
নিভাতে ক্ষুধার জ্বলন!    


কিন্তু হায়! বাপের জম্মে কার জানা ছিল
এই নরপিচাশিনীর জঘন্য খাদ্য গ্রহণের
ঘৃন্য ইতিহাস!    
হামজার কলিজাও হয়েছিল সুস্বাদু এক খাদ্য বস্তু!
মিটিয়ে দিয়েছিল হিন্দার হিংসের লালঝরা জিহবার
রক্তের রসনা বিলাস!
আক্রোশের ক্ষুণচড়া দাঁতের ধার দিয়ে
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়েছিল সেই পাষাণী  
মোহাম্মদের মানিকের (হামজার) যকৃতের
প্রতিটি অনু!


ওহুদের মাঠে,  ভীড় ঠেলে ঠেলে
নিরিখ করেছিল নির্ভুল শিকারী, হিন্দার কালো দাস, ওয়াসী
সজোরে এপাশ ওপাশ ভেদ করে দিয়েছিল  
তার শান দেওয়া বিষমাখা বল্লম    
হামজার খোদা মশগুল বুকের
উর্বর মাটিতে!
পয়গম্বরের চাচার রক্তের অবগাহনে জুটেছিল  
দাসত্বের মুক্তির সদায়, সনদ
আবু সুফিয়ানের গৃহ হতে আবিসিনিয়ার
সেই কঠিন কালো দাসের!  


আজও হামজার উত্তরসূরীদের দ্বীনদার কলিজার দর পড়েনি, একটুকুও
দাম বেড়েছে বরং লক্ষ গুণ!  
আজও দুনিয়া জুড়ে হামজা বক্ষের নিলাম চলে!
কলিজা খেকো হিন্দার চ্যালারা দাম ওঠায়-
সাইয়্যেদিনা শিষ্যের প্রতিটি কলিজার দাম-  
নিযুতে, কোটিতে!    
নির্দয় নিষ্ঠুর বল্লম চালিয়ে ফেঁড়ে চৌচির করে নবীভক্তদের
বুকের পর বুক!
ক্ষুণের নেশার ঘোরে শিকার করে চলে
আওলাদে রাসূলদের জান!  
বিনিময়ে ওয়াসীরা লুফে নেয় নিষিদ্ধ নলেন গুড়ের হালুয়া
আর হারাম যবের রুটি!
হামজা বংশের রক্তের সিঁদুর পায়ে মেখে আরোহন করে  
আখেরের মসনদের
তুলতুলে আরাম গদিতে!


শেষ বিচারের দিনে
ছেঁড়া, খামচানো বুক নিয়ে উঠবে হামজা
রক্ত চোয়ানো ছিন্ন ভিন্ন ঝাঝরা পিঞ্জর
দুহাতে চেপে ধরে হাজির হবে
তাঁর দুনিয়া ভরা সাথীরা  
যকৃৎ খাদকদের কী হবে জবাব সেদিন
জানি না!
শুধু বিশ্বাস করি
কড়ায় গন্ডায় শোধ করে দিতে হবে
সব কালেমার কলিজার দাম!