সূর্য ডুবছে সময় যাচ্ছে
রাস্তা অনেক বাকি
ঘামছে কন্যা হাটছে জোরে
আকাশের পানে তাকি।
সূর্যই যেন শত্রুর মতো
জলদি সে গেলো ডুবে
মৃদ আলোতে, আধার ঢাকতে
চাঁদমামা এলো পুবে।
বালিকার পায়ে ক্লান্তির ছাপ
জোরে জোরে তবু হাঁটে
নির্জন পথে একাকী কন্যা
পৌঁছাতে হবে ঘাটে।
গাছের আড়ালে ঝিঝির কন্ঠ
হৃদয়ের মাঝে ভয়
"রহিমের ঘাটে পৌঁছালে বাঁচি"
মনে মনে কথা কয়।
পথে যে তাহার, ওৎ পেতে আছে
বুনো শকুনের দলে
তবে কি বিপদ ঘনিয়ে আসছে
নিষ্পাপ কোনো ফলে?
শকুন হলেও বিপদ কাটতো
এরা যে শকুন নহে
মানুষের মতো, তবে যে শিরায়
বিষাক্ত খুন বহে।
নির্জন পথ, বিপদের রথ
বালিকা সে কথা জানে?
একদল পশু ওৎ পেতে আছে
মত্ত মদ্য পানে।
সে সময় তবে এলো
বালিকায় কাপে থরথর
ঝোপের আড়ালে বিকট শব্দ
"ঐ যে রুপসী, ধর ধর।"
কেউ চেপে ধরে হাত
হাতে ছুরি আর অস্ত্র
কেউ বা ধরছে কৃষ্ণ চুলে
কেউ বা ছিড়ছে বস্ত্র।
ভেবে লাগে মোর ভয়
বালিকাটা অসহায়
আজ কারো বোন ধর্ষিত হলো
পশুদের চাহিদায়।
রক্তে মাখানো বালিকার দেহ
ঘাস মাখা বিছানায়
এক ভীত হয়ে আস্তে কইলো
কি করবো এ বেলায়?
একজন কয়, তারাতারি চল
ধরা খাবো কেউ এলে
পুলিশ মোদের শূলে চড়াবে
একটাকে হাতে পেলে।
বালিকার কাছে কাপুরুষ এলো
হাতে ছুরি, মনে জেদ
নরম গলায় চালালো অস্ত্র
করিলো শিরশ্চেদ।
পশু নয় তোরা, পশুরাও ভালো
কাপুরুষ- শয়তান
বিচার তোদের হবেই হবে
হবে তোর অবসান।
আধুনিক এই সমাজ চিত্র
ভাবলেই বুক ফাটে
বালিকার প্রান আজ বৃথা গেলো
পারলো না যেতে ঘাটে।।